নিশীথ প্রামানিকের গড় ভেটাগুড়িতেই BJP ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিল তিন শতাধিক কর্মী। এদিন বোরোডাঙ্গায় তাদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন দিনহাটা -১ ব্লক সভাপতি শুধাংশু রায়। উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নুর আলম হোসেন, ভেটাগুড়ি -২ অঞ্চল সভাপতি সুনীল রায় সরকার প্রমুখ।
এই বিষয়ে তৃণমুল নেতা শুধাংশু রায় বলেন, “এদিন তিন শতাধিক BJP কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। এরা সকলেই মা মাটি মানুষের উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হতে ওই দল ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে BJP এই এলাকা থেকে মুছে যাবে, প্রার্থী দেওয়া তো দূরের কথা, বুথে বসানোর জন্য এজেন্ট পর্যন্ত পাবে না ওরা।”
যদিও BJP-র কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায় এই ঘটনাকে বেশি গুরুত্ব দিতে রাজি নন। তিনি বলেন, “আমরা কোনোদিন কাউকে জোর করে দলে নিইনি। যারা এসেছিল তাদের ভয় দেখিয়ে আবার তৃণমূলে দলে নিয়েছে। তবে তারা মনে প্রাণে BJP-তেই আছেন। জোর করে করা কাজ কখনও সফল হয় না।”
যদিও এদিন তৃণমূলে যোগ দেওয়া এক BJP কর্মী জানান, তাঁরা নিজের ইচ্ছেতেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ওই কর্মী বলেন, “আমাদের কেউ কোনোদিন জোর করেনি। আগে আমরা তৃণমূলই করতাম। বিপথগামী হয়ে BJP-তে যোগ দিয়েছিলাম। আবার ফিরে এলাম। BJP এই এলাকায় লোকসভাতে জিতেও কোনও কাজ করেনি। বরং তৃণমূল এলাকার অনেক উন্নয়ন করেছে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে BJP-র সঙ্গে তৃণমূলের সংঘর্ষ বাঁধে। ঘটনায় তৃণমূলের দুই কর্মী জখম হন। এই ঘটনার প্রতিবাদে দিনহাটা থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্ত BJP কর্মীদের গ্রেফতার করতে হবে।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করার জন্য হামলা চালাচ্ছে BJP। অন্যদিকে, এই ঘটনাকে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে দাবি করছে BJP। আর তারপর আজকের এই বড় যোগদান। শেষে বাজিমাত করল তৃণমূলই, এমনই অভিমত রাজনৈতিক মহলের।