Balurghat News : রাজবংশী জনজাতি আন্দোলনের রূপকার, ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার আবক্ষ মূর্তি বসল বালুরঘাটে – panchanan varma idol sits at balurghat


Dakshin Dinajpur : রায়সাহেব ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার আবক্ষ মূর্তির উদ্বোধন হল বালুরঘাটে৷ বালুরঘাট শহরের থানা মোড় এলাকায় এই আবক্ষ মূর্তি বসানো হয়েছে৷ বুধবার বিকেলে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাজ সংস্কারক ও রাজবংশী নেতৃত্ব ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করা হয়। প্রায় এক লাখ টাকা ব্যায়ে এই মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে বলে খবর।

Nadia News : বামপন্থী নেতার মূর্তির পাশ থেকে উপড়ে ফেলা হল লাল পতাকা, শোরগোল নদিয়ায়
বুধবার একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার আবক্ষ মূর্তির উন্মোচন করা হয়৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা, পুলিশ সুপার রাহুল দে, বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র, ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ্তা চক্রবর্তী, বালুরঘাটের প্রাক্তন বাম সাংসদ রনেন বর্মন, খলিশামারি পঞ্চানন বর্মা ট্রাস্টের সম্পাদক গিরীন্দ্রনাথ বর্মন সহ একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিক ও পুরসভার কর্মী এবং পুর জনপ্রতিনিধিরা।

Balurghat Hospital : গরমে তীব্র রক্ত সংকট! রোগী বাঁচাতে মহৎ উদ্যোগ বালুরঘাটের চিকিৎসক-নার্সদের
এ বিষয়ে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার আদর্শকে স্মরণীয় করে রাখতেই তার মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন। খুব ভালভাবে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।অন্যদিকে এবিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, ঠাকুর পঞ্চানন বর্মা সমাজের পথপ্রদর্শক হিসেবে সকলের মনে গেঁথে আছেন।

Kurmi Protest: ফের রেল রোকো কুড়মিদের, ক্ষোভে ফুঁসছে সমাজ! কী কী দাবিতে বার বার পথে নামতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা? জানুন
একটি ট্রাস্টের তরফে প্রায় লাখ খানেক টাকা ব্যয়ে এই মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিভিন্ন পর্যায়ে শহরে বিরসা মুন্ডা ও একাঙ্ক নাটকের জনক মন্মথ রায়ের মূর্তি স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। উল্লেখ্য, রাজবংশী জনজাতিকে আলোর পথ দেখান ঠাকুর পঞ্চানন বর্মা। রাজবংশীদের অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠার পূর্ণ রূপ পায় জননেতা রায় সাহেব পঞ্চানন বর্মার হাত ধরে।

South Dinajpur News : ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি, খাদে গাড়ি পড়ে প্রাণ গেল ২ নির্মাণ শ্রমিকের
রাজবংশী জনজাতির মধ্যে শ্রেণি-সচেতনতা গড়ে তুলতে শুরু করেছিলেন পঞ্চানন বর্মাই। তাঁর আন্দোলনের ফলে ১৯১১-র জনগণনায় রাজবংশীদের ক্ষত্রিয় জাতি হিসাবে উল্লেখ করা হয়। রাজবংশী সম্প্রদায়ের অধিকার আদায় এবং তাঁদের অবস্থার উন্নতিকল্পে তাঁর অবদানের জন্য স্বীকৃতি স্বরূপ ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক তিনি ‘রায় সাহেব’ উপাধি পেয়েছিলেন।

রাজবংশী জাতির জনক রায় সাহেব পঞ্চানন বর্মাকে হিসেবে অভিহিত করেন। ১৮৬৬ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি কোচবিহার রাজ্যের মাথাভাঙ্গা মহকুমার খলিসামারী গ্রামে জোতদার পরিবারে তাঁর জন্ম হয়। রাজবংশী সম্প্রদায়ের অবস্থার উন্নতির জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি চাকরিতে তাঁদের অংশগ্রহণ বাড়াতে তিনি আজীবন কাজ করে গিয়েছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর জন্মদিবসে রাজ্য সরকার ছুটি ঘোষণা করে। ২০১২ সালে তাঁর নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয় কোচবিহারে



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *