বাঁকুড়া (Bankura) জেলার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের নিত্যানন্দপুর অঞ্চলে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি প্রচারে গিয়ে বাঁকদহ গ্রামে পুজো দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর সারাঙ্গপুর গ্রামে স্বাস্থ্য কেন্দ্র, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শনে যান তৃণমূল নেতৃত্ব। পরে বিকেলে একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয় তড়কাবাইদ গ্রামে।
সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন উপস্থিত তৃণমূল নেতৃত্ব। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের প্রচার করেন। এদিনের এই কর্মসূচিতে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
এই কর্মসূচিতেই উপস্থিত হয়ে গঙ্গাজলঘাটি ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হৃদয় মাধব দুবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে CPIM-কে একহাত নেন। বামেদের আক্রমণ করে তিনি বলেন, “আজকে CPIM নামক অশুরটা তুলসীর মালা পরে উকিঁ ঝুকি মারছে। শুনে রাখো CPIM, একদম বেশী বাড়াবাড়ি করবে না তোমরা। ৩৪ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গটাকে শোষণ করেছো। তোমাদের ওই তুলসীর মালাটাকে গোড়া থেকে ছিঁড়ে ফেলে দেব। তোমরা তুলসীর মালা পরবে, আর মানুষের উপর সন্ত্রাস করবে এটা হবে না। আগের নির্বাচনগুলিতে মানুষের কাছে যেমন উপযুক্ত শিক্ষা পেয়েছ, ঠিক তেমনি আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনেও মানুষ তোমাদের উচিৎ শিক্ষা দেবেন।”
যদিও এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছে CPIM। CPIM-এর রাজ্য কমিটির সদস্য অভয় মুখার্জি এই বিষয়ে জানান, “CPIM-এর ৩৪ বছরের ভুত এখনও ওদের ঘাড় থেকে নামছে না। তবে ১১ বছরে এরা এত দুর্নীতি করেছে, যে মানুষ এদেরকে এবার ছুঁড়ে ফেলে দেবে তা বুঝতে পেরেছে। তাই যত নির্বাচন এগিয়ে আসছে তত উলটো পালটা কথা বলছে। সাধারন মানুষের এতে কিছু যায় আসে না।তৃণমূলের দুর্নীতির রোগ গোটা রাজ্যটাকে ভিতর থেকে শেষ করে দিয়েছে। সাদা চোখে মানুষ তা বুঝতে পারছেন। তাই জন্যই এই দিদির সুরক্ষা কবচ নামক কর্মসূচিতে গিয়ে মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়ছে, এমনকি মানুষ এলাকা থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বারও করে দিচ্ছেন। তৃণমূল আগে নিজদের নিয়ে ভাবুক।”