এদিন তাঁরা আদালতের হাজিরা খাতায় সই করে আদালতের বারান্দায় কর্মবিরতি ও বিক্ষোভে শামিল হন। এদিন বাঁকুড়া জেলা আদালতের কর্মীরা কর্মবিরতির পাশাপাশি অবস্থান কর্মসূচীতেও অংশ নেন। যার জেরে সমস্যায় পড়েন আদালতে বিভিন্ন কাজে আসা সাধারণ মানুষ।
আদালত কর্মীদের এদিনের এই কর্মবিরতির জেরে বাঁকুড়া জেলা আদালতের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয় বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় হারে DA সহ একাধিক দাবিতে প্রায় দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এরই মধ্যে গত ২৯ মার্চ রেড রোডের ধর্না মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের এই আন্দোলনকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “চিরকুটে চাকরি পাওয়া চোর ডাকাতরা DA মঞ্চে গিয়ে বসে আছে।”
মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েই এদিন কর্মবিরতির ডাক দেয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আন্দোলনকারীদের তরফে দাবি করা হয়েছে, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বেশী DA পান। DA তাঁদের অধিকার। আর তা চাইতেই রাজ্য সরকারের প্রধানের কাছ থেকে কুরুচিকর মন্তব্য শুনতে হয়েছে।
এই অবস্থায় দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে জানান। এই বিষয়ে আদালতের এক কর্মী প্রসেনজিৎ মালাকার বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ওই বক্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। পরিশ্রম করে সরকারি চাকরি পাওয়া কর্মীদের এই ধরনের কথা বলে অপমান করা হয়েছে। রাজ্য সরকারী কর্মচারীরা কোনও ভিক্ষে চাইছেন না। DA চাইছেন। যেটা তাঁদের সম্পূর্ণ প্রাপ্য। ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড পশ্চিমবঙ্গের থেকে অনেক ছোট রাজ্য। অথচ সেখানকার সরকারি কর্মীরা আমাদের রাজ্যের থেকে অনেক বেশি DA পেয়ে থাকেন। এই ধরনের বঞ্চনা চলবে না।”
অন্যদিকে, সরকারি কর্মচারীদের DA নিয়ে এই আন্দোলনের মাঝেই বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৭ এপ্রিল রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবের উপস্থিতিতে আলোচনায় বসার কথা সরকারি কর্মচারী সংগঠনের তিন সদস্যের।