বৃহস্পতিবার বেলায় রায়দিঘি বিধানসভার অন্তর্গত একটি ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির পরিদর্শনে গিয়েছেন মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও এম ডি নাজির হোসেন। শিবিরের কাজ কী রকম চলছে, সেটাই পর্যবেক্ষণ করার কথা ছিল তাঁর রুটিনে। শিবিরে গিয়ে নজরে আসেন ওই বৃদ্ধা। সকলের সঙ্গে তিনিও লাইনে দাঁড়িয়ে তাঁর ডাকা আসার অপেক্ষায়।
জানা যায়, রায়দিঘি বিধানসভার খাঁড়ি গ্রামের বাসিন্দা ইনকুমারি দাস (৭২)। তাঁর স্বামীকে হারিয়েছেন গত ২০১১ সালে। এমনকী তাঁর কোনও সন্তান নেই। সহায়সম্বলহীন বৃদ্ধার কথা শোনেন তিনি। কথা বলে জানতে পারেন, গত ১০ বছর ধরে সরকারি কোনও ভাতা পাচ্ছেন না। অসহায়ভাবে দিন কাটছিলো তাঁর। এরপরেই দ্রুত উদ্যোগ করেন বিডিও।
বৃহস্পতিবার রায়দিঘি বিধানসভার মথুরাপুর দু’নম্বর ব্লকের খাঁড়ি অঞ্চলে চলছিল দুয়ারে সরকার শিবির। আর সেই দুয়ারে সরকার শিবিরে লাইনে দাঁড়ায় ওই বৃদ্ধা। তখনই শিবির পরিদর্শনে যান মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও এম ডি নাজির হোসেন। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধা মহিলার কথা।
এই খবর জানার পরেই তৎক্ষণাৎ ওই বৃদ্ধা মহিলার বিধবা ভাতার ব্যবস্থা করেন মথুরাপুর দু নম্বর ব্লকের বিডিও এমডি নাজির হোসেন। ১০ বছর পর দুয়ারের সরকার ক্যাম্পাসে বিধবা ভাতা পেয়ে বেজায় খুশি অসহায় বৃদ্ধা মহিলা। বিডিও নাজির হোসেন বলেন, ” আমি পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে কথা বলে ওঁর বিধবা ভাতা পাওয়ার সমস্ত রকম ব্যবস্থা করে দিলাম। এতে উনি আরেকটু ভালো থাকতে পারবেন।”
প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল থেকে রাজ্য শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত চলার কথা এই শিবিরের। গ্রামে, গ্রামের সরকারের জনহিতকর প্রকল্পের সুবিধা মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য এই শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে তিন মাস অন্তরই।