বৃহস্পতিবার হুগলিতে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা বলেছিলাম পুলিশ প্রশাসন ব্যর্থ হয়ে গিয়েছে। আধা সামরিক বাহিনী মোতায়ন করা হোক। কোর্ট পুরো দিক বিবেচনা করে করেছে। কোর্টকে ধন্যবাদ জানাই এবং মনোবল বাড়ল। কোর্ট নিরপেক্ষভাবে বাংলার প্রতি নজর রেখেছে।” এরপরেই পঞ্চায়েত নির্বাচনেও আধা সেনা দেওয়ার ব্যাপারে দাবি তোলেন লকেট।
তাঁর কথায়, “পঞ্চায়েত নির্বাচনেও আমরা চাইব আধা সেনা থাকুক। একটা মিছিলে যদি এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জানি না কী হবে? তাই আমরা আবার কোর্টের কাছে আবেদন জানাব কেন্দ্রীয় বাহিনী যেন পঞ্চায়েতেও দেয়।”
গত রবিবার রাতে রামনবমীর মিছিল কে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল হুগলির রিষড়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। পুলিশের একটি ভ্যান জ্বালিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার বিকেলে রিষড়ায় আসেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেখানে ট্রেন থেকে নামার পরেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়।
পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংসদ বলেন, প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করা হোক। এরপরে বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, হনুমান জয়ন্তীর দিন প্রয়োজন পড়লে কেন্দ্রীয় বাহিনী সাহায্য নিতে পারে রাজ্য। সেই মতো আজ হুগলির বাঁশবেরিয়ায় হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছেছে।
ইতিমধ্যে মগরা থানা থেকে বেরিয়ে বাঁশবেড়িয়া কল বাজারের উদ্দেশ্যে আধা সামরিক বাহিনী, কল বাজারে হনুমান জয়ন্তী শোভাযাত্রায় রাজ্য পুলিশের সঙ্গে নিরাপত্তা দেয় বাহিনী। হাওড়া ও রিষড়ার ঘটনার পর সতর্ক রয়েছে প্রশাসনও।
অন্যদিকে, পোলবার রাজহাটে বিজেপির সাংগঠনিক বাইক মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। সেই প্রসঙ্গে লকেট বলেন, “পুলিশের কাজ এটা। তাঁরা কোনওভাবে ভারতীয় জনতা পার্টিকে বাড়তে দেবে না। ২০১৯ এ এভাবেই ভারতীয় জনতা পার্টি ১৮ টা সাংসদ নিয়ে এসেছিল। যত পুলিশ আটকাবে তত মানুষের ক্ষোভ আরও বাড়বে।”