নন্দীগ্রামে হনুমান জয়ন্তীর এক অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার সকালে যোগদান করেন বিজেপি বিধায়ক। হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে রাজ্যের একাধিক জায়গায় পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীরও সাহায্য নেওয়া হয়েছে। পুলিশ যে ব্যর্থ তার জন্যেই আদালত কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, সেরকম দাবি করছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েত নির্বাচনেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সরব হন বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু এদিন বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন অসম্ভব। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া কোনওভাবেই সম্ভব নয়। আমরা পুরসভা নির্বাচনে যা দেখেছি, তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয়।” তৃণমূলকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু জানান, প্যান্টের পেছনে তালি লাগানো, হাঁটু ছেঁড়া, লাল চুল-কানে দুল বাহিনী, বাইক বাহিনীর অত্যাচার আমরা দেখেছি। তাই তাঁরা আগামী দিনেও লুট করতে পারে। অতএব কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট এখানে সম্ভব নয়।
রাম নবমীর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে হনুমান জয়ন্তীর অনুষ্ঠান নিয়ে কড়া ছিল প্রশাসন। এরপরেও আদালতের নির্দেশ মেনে রাজ্যে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেয় রাজ্য। পুলিশ প্রশাসন যে ব্যর্থ, এই সিদ্ধান্তে রাজ্য সরকারের ঢোক গেলার বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে বলেই দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। সে কারণে এই সুযোগে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার বিষয়টি পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে তৎপর গেরুয়া শিবির বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলে।
রাম নবমীর বিচ্ছিন্ন ঘটনা তৃণমূলের মদতেই হয়েছে বলে এদিন জোরালো দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। সারা রাজ্যে হাজারো মিছিলের মাঝে তিন – চারটি জায়গায় অশান্তির ঘটনার পিছনে শাসক দলের মদত রয়েছে বলে দাবি তাঁর।
শুভেন্দু বলেন, ” তৃণমূল এই অশান্তি করেছে। এরা বিখ্যাত হয়ে যাচ্ছে আমি নাম নিচ্ছি বলে।” তৃণমূলের হাওড়ায় তৃণমূলের এক ওয়ার্ড সভাপতি এবং রিষড়ায় তৃণমূলের এক ভাইস চেয়ারম্যানের নাম নেন শুভেন্দু। তাঁর যুক্তি, সাগরদিঘিতে সংখ্যালঘু ভোট সরে যাওয়ার কারণেই তৃণমূল এই ফাঁদে পা দিয়েছে। কিছু মানুষকে উসকে দিয়ে এই ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে দাবি তাঁর।