TMC MLA Saokat Molla : ‘দলবিরোধী কাজ করলে কড়া ব্যবস্থা…’, কর্মীদের হুঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়কের – tmc mla saokat molla warns party members from bhangar meeting


দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড় বিধানসভার পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লাSouth 24 Parganas : গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে ভাঙড়ে শক্তি বাড়িয়েছে আইএসএফ। এরই মধ্যে আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষের ঘটনা, নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারি সহ একাধিক ঘটনা জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছে ভাঙড়ের রাজনীতিতে। রয়েছে তৃণমূলের একাধিক গোষ্ঠী নিয়ে বিবাদও। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের রাশ টানতে কর্মীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা নবনিযুক্ত পর্যবেক্ষক তথা তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার।

Nawsad Siddique : ‘তৃণমূল হারানো জমি পুনরুদ্ধার করতে পারবে না…’, ভাঙড়ের মিছিল থেকে হুঙ্কার নওশাদের
“দল বিরোধী কাজ করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কোন কম্প্রোমাইজ হবে না।” দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড় বিধানসভার পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা। নির্বাচনের আগে দল যে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল সহ্য করবে না সে কথা এদিন কর্মীদের সামনে স্পষ্ট করে দেন তিনি। ভালো ফলের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সে কথা ব্যক্ত করেন কর্মীদের কাছে।

TMC Vs ISF : দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে ভাঙড়ে TMC-ISF সংঘর্ষ, দুপক্ষের হাতাহাতিতে আহত একাধিক
বুধবার ভাঙড়ের বামনঘাটায় দলীয় কর্মীদের নিয়ে এই প্রথম কর্মীসভা করেন শওকত। যেখানে শওকত মোল্লার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনার আরাবুল ইসলাম, রহীম মোল্লা সহ একাধিক নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় কর্মীদের সংবদ্ধ করতে এটাই ছিল শওকত মোল্লার প্রথম কর্মীসভা।

TMC Joining : ISF গড়ে বড় ভাঙন! তৃণমূলে যোগ ৩০ পরিবারের
এই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভাঙড়ের নবনির্বাচিত পর্যবেক্ষক দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দেন, দল বিরোধী কাজ করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য ভাঙড়ের বামনঘাটা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক গোষ্ঠীতে বিভক্ত। একাদিকে আরাবুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত প্রদীপ মণ্ডল, অন্য দিকে আরাবুল বিরোধী হিসাবে পরিচিত মহাসিন গাজির গোষ্ঠী।

Nawsad Siddique : ‘দুর্নীতি ঢাকতেই পরিকল্পিতভাবে দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা…’, শাসকদলকে আক্রমণ নওশাদের
এছাড়া বামনঘাটা পঞ্চায়েত প্রধান অমরেশ মণ্ডলের গোষ্ঠীও আছে। যদিও সাম্প্রতি প্রদীপ মণ্ডল আরাবুল ইসলামের থেকে দূরত্ব বাড়িয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। এরকম একটি রাজনৈতিক সমীকরণে নিজেদের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব ভুলে সঙ্গবদ্ধভাবে আইএসএফের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে বলেই মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। আগামী নির্বাচনে বিজেপি বা সিপিআইএম ছাড়াও এই কেন্দ্র থেকে আইএসএফের বিরুদ্ধে এই অঞ্চল থেকে যে জোর লড়াই দিতে হবে রাজ্যের শাসক দলকে সেটা প্রত্যক্ষ করেছে তৃণমূল।

Nawsad Siddique : ‘জেনে বুঝে রাজ্যে হাঙ্গামা বাধাচ্ছে তৃণমূল…’, তোপ নওশাদের
অন্যদিকে, এদিনের মিটিং থেকে আরাবুল ইসলাম বলেন, বামনঘাটায় যখনই কিছু হয়েছে আমি এখানে দৌড়ে এসেছি। অনেক সংগ্রাম লড়াই এই বামনঘাটা থেকেই শুরু হয়েছে। আমাদের দলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ নেই, গোষ্ঠী একটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর গোষ্ঠী। শওকত মোল্লার নেতৃত্বে আমরা এখানে লড়াই করব। সঙ্গবদ্ধ লড়াই করলে আইএসএফ বিজেপিকে পরাজিত করতে পারব।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *