অপরদিকে WBTST-র সংগঠনের সুতাহাটা ব্লকের সাধারণ সম্পাদক উৎপল নায়ক কটাক্ষে বিধতে ছাড়েনি ইস্তফা দেওয়া শিক্ষকদের। তিনি বলেন “যারা ইস্তফা দিয়েছেন, তারা আন্তরিকভাবে শিক্ষক সেলের সঙ্গে ছিলেন না। নাম সই করে রেখেছিলেন সুযোগ পাওয়ার জন্য। ভিতরে ভিতরে অন্যরকম ছিল। নানান অজুহাতে গত মাসের ১০ তারিখে কেউ আসেননি স্কুলে। ওইদিনে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। তাই তাদের শোকজ করা হয়েছিল। এই ইস্তফাতে সংগঠনের কোনও ক্ষতি হবে না।”
এই বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিখিল চন্দ্র সাউ বলেন, “DA সংক্রান্ত ব্যাপারে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চে আন্দোলনকারীরা শামিল হয়েছিলেন। একটি প্রতিষ্ঠানের হেড হিসেবে সরকারি কাজকর্মের সঙ্গে আমাকে যুক্ত থাকতে হয়। আমি সহমর্মী হলেও কিছু করতে পারছি না।” তিনি আরও জানান, “পদত্যাগকারীরা শুধুমাত্র এই ব্যাপারে ক্ষুব্ধ হননি, কিছু মন্তব্যে আঘাতও পেয়েছেন।”
কি মন্তব্য তা অবশ্য তিনি খোলসা করেননি। আসন্ন ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে মুখ্যমন্ত্রী যখন জেলা সফরে দিঘাতে, জেলার অন্য প্রান্ত শিল্পশহর হলদিয়াতে তৃণমূলের শিক্ষক সেলের ভাঙন কিন্তু একটা বড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূলকে।
এই কারণে সাংগঠনিক দিক থেকে জেলা নেতৃত্ব যথেষ্ট প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে বলে অভিমত জানিয়েছে রাজনৈতিক মহল। মহার্ঘভাতার দাবিতে যখন আন্দোলন আরও জোরালো করছেন বিরোধী শিবিরের সরকারি কর্মচারীরা, সেই সময় তৃণমূলের শিক্ষক সেল থেকে একসঙ্গে ২৩ শিক্ষক বেরিয়ে আসায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।
এদিকে এই নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল BJP। তাঁরা বলছে, পঞ্চায়েতের আগে এর দ্বারা উচিত শিক্ষা পাবে তৃণমূল কংগ্রেস। শিক্ষক মহল ও কর্মচারীরা সকলে মিলে জোট বেধে পদক্ষেপ করছেন এবার।