আজ বেলা এগারোটা নাগাদ অগ্নিমিত্রা বিষ্ণপুরের মৌখালি এলাকায় আসেন। এরপর তিনি রাম নবমীর দিন আক্রান্ত ও গ্রেফতার হওয়া কর্মীদের বাড়ি বাড়ি যান। নেত্রীকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকেই। নিজেদের অভিযোগের কথা তাঁর কাছে জানান আক্রান্ত মানুষেরা। তাঁদের আশ্বস্ত করেন অগ্নিমিত্রা। এরপর তিনি বিষ্ণুপুর থানার IC মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন।
থানা থেকে বেরিয়ে রীতিমতো রনংদেহি মেজাজে অগ্নিমিত্রা বলেন, “হাওয়া বদলাচ্ছে। আমি বলছি শুধরে যান। আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে থাকুন। তোষামোদি আর দুর্নীতি করলে কপালে দুঃখ আছে। আমরা সব নোট রাখছি। মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলছি আপনি শুধরে যান। ধরে নিন আমি হুমকি দিচ্ছি। আপনার সাংসদের ডায়মন্ড হারবার মডেলের সঙ্গে থাকলে আপনার কপালে দুঃখ আছে।”
এদিন অগ্নিমিত্রার সফর ঘিরে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। এছাড়াও তিনি বলেন, “ডায়মন্ড হারবার মডেলের মাধ্যমে নাকি ঢালাও উন্নয়ন হয়েছে। জায়গায় জায়গায় CCTV ক্যামেরা বসেছে। তো আমি বলছি সেই CCTV ক্যামেরাগুলিই চেক করে বলুন আমাদের রাম নবমীর মিছিল থেকে কে বা কারা বোতল ছুঁড়ে মেরেছে। প্রমান করে দেখান। IC বলছেন আমি রাম নবমীর মিছিলে DJ বক্স বাজাতে বারন করেছিলাম। আমি বলছি, কেন ওরা DJ বক্স বাজাবে না? এরপর কি তাহলে বলবেন যে দুর্গা পুজোর পুস্পাঞ্জলির মন্ত্রটাও একটু আসতে উচ্চারন করতে?”
এভাবেই কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন অগ্নিমিত্রা। আরও বলেন, “যদি প্রমান করতে পারেন যে আমাদের মিছিল থেকে মসজিদে বোতল ছোঁড়া হয়েছিল, তাহলে আমি নিজে বলব তাঁকে গ্রেফতার করুন। কিন্তু আগে প্রমান করুন।” এই বিষয়ে তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতা গোলাপ শেখের নাম নেন।
বিধায়ক বলেন, “আমি বারবার নাম নিয়ে বলছি, আসল গণ্ডগোল পাকিয়েছে তৃণমূল নেতা গোপাল শেখ। IC-র যদি মুরোদ থাকে, তাহলে তাঁকে গ্রেফতার করে দেখান। আসল দোষীদের গ্রেফতার না করে যে চারজনকে গ্রেফতার করে দোষী দেখানো হচ্ছে, আমার কাছে খবর আছে যে তারা স্থানীয় নেশাগ্রস্ত যুবক।” এভাবে আসল দোষীদের আড়াল করছে পুলিশ, এই অভিযোগ করেন অগ্নিমিত্রা।