Barasat Government Hospital : ২০ হাজার টাকা ঘুষ চাই! অরাজি হওয়ায় মহিলাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওয়ার্ড মাস্টারের বিরুদ্ধে – barasat government hospital ward master allegedly assault a woman in hospital premises


West Bengal Local news: বারাসত হাসপাতালে ওয়ার্ড মাস্টারের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। ওই ওয়ার্ড মাস্টারের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে মারধর ও শ্লীলতাহানি অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টারের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযোগ প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা ঘুষ না পেয়ে খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থার মহিলাকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করেছেন বারাসত হাসপাতালের ওই ওয়ার্ড মাস্টার। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বারাসাত হাসপাতালে ভর্তি থাকার রোগীর খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থার নির্যাতিতা মহিলা।

Uttar 24 Pargana : প্রাতঃভ্রমণে বেরনোই হল কাল! ছিনতাই সোনার চেন, CCTV-তে ধরা পড়ল সবটা
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসত হাসপাতালে (Barasat Government Hospital) ভর্তি হওয়া রোগীদের রান্না করা খাবার সরবরাহ করে থাকেন বসিরহাট ফুড সাপ্লাই মহিলা কোঅপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড। ওই সংস্থার মহিলার ডিরেক্টর রোজকার মতোই বৃহস্পতিবার রান্না করা খাবার নিয়ে হাসপাতালে আসেন।

বৃহস্পতিবার ওই মহিলা হাসপাতালে আসার পর দেখতে পান অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টার পরিমল রাহা রান্নাঘরে ঘোরাঘুরি করছেন। তখন তাঁকে সেখান থেকে বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলেন নির্যাতিতা মহিলা। এরপরেই অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টার ওই মহিলাকে মারধর করে, এমনকী তাঁর জামাকাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

Bolpur Assault Case : বোলপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ, নদী চর থেক নগ্ন অবস্থায় উদ্ধার
ওয়ার্ড মাস্টারের (Ward Master) কাছে নির্যাতিত হয়ে থানায় অভিযোগ দায়েরের সিদ্ধান্ত নেন ওই মহিলা। সেই অনুযায়ী বারাসত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টারকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে বারাসত থানার পুলিশ।

Murshidabad News : ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মহিলা বিভাগে আগুন, আতঙ্ক এলাকায়
বারাসত থানায় (Barasat Police Station) অভিযোগ দায়েরের পর ওই মহিলা বলেন, “বারাসত হাসপাতালে রোগীদের খাবার সরবরাহ করার টেন্ডার আমি পেয়েছি। সেই অনুয়ায়ী এখানে কাজ করি। বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন অজুহাতে আমাকে বিরক্ত করছিলেন। তিনি বলেন যে মাসে ২০ হাজার টাকা করে না দিলে এখানে কাজ করা মুশকিল হবে। আমি তাঁকে জানিয়েছিলাম যে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। ওনার একটাই দাবি যে টাকা দিতে হবে। আগেও উনি হাসপাতালের এক মহিলাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে টাকা নিয়ে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। শেষমেশ বৃহস্পতিবার আমাকে মারধরন ও শ্লীলতাহানি করা হয়।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *