Bidhannagar Sub Divisional Hospital : বিধাননগরের মুকুটে নয়া পালক, মহকুমা হাসপাতালেও সফল মাইক্রো সার্জারি! – gallbladder operation successfully done in bidhannagar sub divisional hospital


নয়া নজির তৈরি করলেন বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সেখানে প্রথমবার ল্যাপারোস্কোপিক কোলেসিস্টেক্টমি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সাধারণত একে আমরা গলব্লাডারের অস্ত্রোপচার হিসেবেই জানি। এই ঘটনা নিঃসন্দেহে মহকুমা হাসপাতাল হিসেবে বিধাননগর হাসপাতালের সাফল্য। একটি ইংরেজি দৈনিক প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, বুধবার সল্টলেক আইবি ব্লকের বাসিন্দা ৩৭ বছর বয়সী রোগীর এই অস্ত্রোপচার হয়। ডাঃ পার্থ সারথি নস্করের নেতৃত্বে চার সদস্যের চিকিৎসক দল সফলভাবে ল্যাপারোস্কোপিক কোলেসিস্টেক্টমি সম্পন্ন করেন। সব মিলিয়ে এই অস্ত্রোপচারের জন্য ১৫ মিনিট সময় লেগেছে। ডাঃ পার্থ সারথি নস্কর গতবছরই এই অস্ত্রোপচারের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

Malda Medical College & Hospital : মাটিতে ফেলে মহিলাকে মারধর, খুলল শাড়ি! মালদা মেডিক্যালে ধুন্ধুমার
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিনামূল্যে রোগীর এই অস্ত্রোপচার হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওপেন সার্জারির ক্ষেত্রে রোগীর দেহে ৬ থেকে ১২ সেন্টিমিটার কাটতে হয়। সেখানে মাইক্রোসার্জারির ক্ষেত্রে ৫ ও ১০ মিলিমিটারের দুটি ছিদ্র হলেই যথেষ্ট। সেই পদ্ধতিতেই রোগীর অস্ত্রোপচার হয়েছে। এক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের পর রোগীর সেরে উঠতে তুলনামূলকভাবে কম সময় লাগবে।

হাসপাতালের সুপার পার্থপ্রতিম গুহ ওই ইংরেজি দৈনিককে এই অস্ত্রোপচার প্রসঙ্গে বলেন, “এই ধরনের অত্যাধুনিক অস্ত্রোপচার সাধারণত মহকুমা হাসপাতালে হয় না। গোটা রাজ্যে মহকুমা হাসপাতালে এমন ধরনের অস্ত্রোপচারের ঘটনা খুবই বিরল।” হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি গত জুন মাসেই নিয়ে আসা হয়। ওপারেশন থিয়েটারও নতুন করে সংস্কারের পর নভেম্বর থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে।

Balurghat Hospital : গরমে তীব্র রক্ত সংকট! রোগী বাঁচাতে মহৎ উদ্যোগ বালুরঘাটের চিকিৎসক-নার্সদের
বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালের এই সাফল্যে স্থানীয় বাসিন্দারও খুশি। বিধাননগেরর বাসিন্দা বাবলু রায় এই প্রসঙ্গে বলেন, “স্থানীয় মহকুমা হাসপাতালে এই ধরনের অস্ত্রোপচার সফলভাবে হচ্ছে এতে আমরা খুশি। মানুষের এই ধরনর হাসপাতালের জন্য এখন থেকে আর বড় কোনও হাসপাতালে যেতে হবে না।”

২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উপর বাড়তি জোর দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উন্নততর রোগী পরিষেবা দিতে হাসপাতালের পরিকাঠামোর মানোন্নয়নের উপর বাড়তি জোর দেন তিনি।

Midnapore Medical College : বিড়াল-কুকুরদের অবাধ যাতায়াত! মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে তিতিবিরক্ত নার্স থেকে রোগীরা
বারবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছে যে তাঁর সরকারে আমলে রাজ্যের সরকারি চিকিৎসাক্ষেত্রের অনেক উন্নতি হয়েছে। এমনকী রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র রোগীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা হয় বলে জোর গলায় দাবি করেছেন তিনি। সেখানে বিধাননগরের মতো এলাকার মহকুমা হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচার নিঃসন্দেহে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সাফল্য বলে মনে কর হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *