হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিনামূল্যে রোগীর এই অস্ত্রোপচার হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওপেন সার্জারির ক্ষেত্রে রোগীর দেহে ৬ থেকে ১২ সেন্টিমিটার কাটতে হয়। সেখানে মাইক্রোসার্জারির ক্ষেত্রে ৫ ও ১০ মিলিমিটারের দুটি ছিদ্র হলেই যথেষ্ট। সেই পদ্ধতিতেই রোগীর অস্ত্রোপচার হয়েছে। এক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের পর রোগীর সেরে উঠতে তুলনামূলকভাবে কম সময় লাগবে।
হাসপাতালের সুপার পার্থপ্রতিম গুহ ওই ইংরেজি দৈনিককে এই অস্ত্রোপচার প্রসঙ্গে বলেন, “এই ধরনের অত্যাধুনিক অস্ত্রোপচার সাধারণত মহকুমা হাসপাতালে হয় না। গোটা রাজ্যে মহকুমা হাসপাতালে এমন ধরনের অস্ত্রোপচারের ঘটনা খুবই বিরল।” হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি গত জুন মাসেই নিয়ে আসা হয়। ওপারেশন থিয়েটারও নতুন করে সংস্কারের পর নভেম্বর থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে।
বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালের এই সাফল্যে স্থানীয় বাসিন্দারও খুশি। বিধাননগেরর বাসিন্দা বাবলু রায় এই প্রসঙ্গে বলেন, “স্থানীয় মহকুমা হাসপাতালে এই ধরনের অস্ত্রোপচার সফলভাবে হচ্ছে এতে আমরা খুশি। মানুষের এই ধরনর হাসপাতালের জন্য এখন থেকে আর বড় কোনও হাসপাতালে যেতে হবে না।”
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উপর বাড়তি জোর দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উন্নততর রোগী পরিষেবা দিতে হাসপাতালের পরিকাঠামোর মানোন্নয়নের উপর বাড়তি জোর দেন তিনি।
বারবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছে যে তাঁর সরকারে আমলে রাজ্যের সরকারি চিকিৎসাক্ষেত্রের অনেক উন্নতি হয়েছে। এমনকী রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র রোগীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা হয় বলে জোর গলায় দাবি করেছেন তিনি। সেখানে বিধাননগরের মতো এলাকার মহকুমা হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচার নিঃসন্দেহে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সাফল্য বলে মনে কর হচ্ছে।