সেই মর্মে বুধবার তাঁকে ইমেল পাঠানো হয়েছে। এর আগে মার্চ মাসের শেষেও লতিফকে তলব করেছিল ইডি। তদন্তকারীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, লতিফ অসুস্থতার কারণে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না বলে তাঁদের কাছে বার্তা দেওয়া হয়েছিল। যদিও এরমধ্যেই গত শনিবার রাজেশ ঝা খুনের তদন্তে জানা যায়, ঘটনার সময়ে এই লতিফের ফরচুনার গাড়িতেই ছিলেন নিহত কয়লা মাফিয়া।
সেই গাড়িতে ছিলেন লতিফ নিজেও। কিন্তু আততায়ীদের গুলি থেকে তিনি কীভাবে বেঁচে গেলেন, তারপর কোথায় বেপাত্তা হলেন তিনি–তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে যাচ্ছে। খুনের পর অকুস্থলের আশপাশের একটি ভিডিয়োতে লতিফকে মোবাইলে কথা বলতেও দেখা যায় (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ‘এই সময়’)।
তিনি যে গাড়িতে ছিলেন, তা শক্তিগড় থানায় দায়ের করা এফআইআরে জানিয়েছেন লতিফের গাড়ির চালক নুর হোসেন শেখ। এর আগে গোরু পাচার মামলায় সিবিআই চার্জশিটে লতিফকে পলাতক হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। নুর এও দাবি করেছেন, প্রতিদিনের মতো গত শনিবারও বীরভূমের ইলামবাজারের বাড়ি থেকে লতিফকে গাড়িতে তুলে আনতে গিয়েছিলেন তিনি। তারপরই প্রশ্ন ওঠে, নিজের বাড়িতে থাকলেও সিবিআই তাঁর খোঁজ পেল না কেন?
তবে ইডির পাশাপাশি গোরু পাচার মামলায় তৎপরতা বাড়িয়েছে সিবিআইও। ইতিমধ্যে শুল্ক দপ্তরের সুপারিন্টেডেন্ট, ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কয়েকজন আধিকারিকের কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, ব্যারাকপুর, সোনারপুর, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই তল্লাশিতে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। সিবিআই সূত্রের খবর, ওই নথিপত্র খতিয়ে দেখে ফের কয়েকজনকে জেরার জন্য তলব করা হতে পারে।
রাজেশের খুনের পর লতিফ ফের বেপাত্তা হয়ে যাওয়ায় রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। এদিন ইডি তাঁকে তলব করায় বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল অভিযোগ করেন, ‘রাজেশ ঝাকে খুনের মতো লতিফের গায়েব হয়ে যাওয়াটাও এই ষড়যন্ত্রের একটা অংশ।’ পাল্টা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষেক খোঁচা, ‘এর আগে বগটুই মামলায় বিজেপি বলছিল, সব তথ্য নাকি রয়েছে লালন শেখের কাছে। তাঁর মৃত্যু হলো সিবিআই হেফাজতে। আবার এখন বিজেপি বলছে, রাজেশ ঝায়ের খুনের পর গায়েব হয়েছে লতিফ! ওদের কথার কোনও গুরুত্বই নেই।’