ঘটনার সময় বাসটিতে ছিলেন বেসরকারি ম্যানেজমেন্ট কলেজের কয়েকজন পড়ুয়া। তার মধ্যে নয় জন গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার পরই পলাতক বাসের চালক। আহত পড়ুয়াদের বাস থেকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। তারা জানিয়েছেন, রাত সোওয়া তিনটে নাগাদ তীব্র আওয়াজে তাদের ঘুম ভেঙে যায়। বাইরে বেরিয়ে দেখেন এই কাণ্ড। ঘটনাস্থলে পৌছায় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। বাসের খালাসিকে আহত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে।
দুর্ঘটনার তীব্রতায় ভলভো বাসটি সামনের অংশ একেবারে তুবড়ে গিয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে বাসটিকে পরীক্ষা করে দেখছেন তদন্তকারীরা। চালকেরও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। কোনও ভাবে বাস চালাতে চালাতে চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন এবং তার থেকেই এই দুর্ঘটনা কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
চিংড়িঘাটা মোড় বরাবরই দুর্ঘটনাবহুল। প্রায়শই সেখান থেকে দুর্ঘটনার খবর আসে। গত বছর ৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে চিংড়িঘাটায় একটি ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা ঘটে। নিক্কো পার্ক (Nicco Park) থেকে বাইপাসের দিকে যাওয়ার সময় একটি বেপরোয়া গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একের পর এক পথচারীদের ধাক্কা মারে। ওই ঘটনায় এক সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) সহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। মৃত্যু হয় এক মহিলার। আহতদের ভর্তি করানো হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। তাদের সঙ্গে দেখা করতে যান স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।
আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। তাঁদের জন্য ১ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, বাকি পাঁচজনকে ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। ঘটনায় ঘাতক গাড়ির চালককে আটক করে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ (Bidhannagar South Police Station)।
এছাড়াও এই ঘটনার পর পরই রাতের দিকে একাধিক দুর্ঘটনা নজরে আসে চিংড়িঘাটা মোড়ে। এর জেরে পথচারীদের চলাচল নিয়ে ট্রাফিককে সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।