স্থানীয়দের অভিযোগ, BJP-র দুষ্কৃতীরা তাদের এলাকার দুয়ারে সরকার শিবিরে হামলা চালিয়েছে এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলাদের ভয় দেখানো ছাড়াও শিবিরের চেয়ার ও টেবিল ভেঙে দিয়েছে। পুলিশ পরে একজনকে গ্রেফতার করলেও বাকিরা এখনও অধরা। তাই অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে এদিন পথ অবরোধ করা হয়।
এক আন্দোলনকারী অভিযোগ করে বলেন, “আমরা সাধারণ মানুষ, কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। কিন্তু যখন BJP-র দুষ্কৃতীরা পোস্টার ছিঁড়েছে এবং দুয়ারে সরকার শিবিরের বুথ ভাঙচুর করেছে, তখন আমাদের সোচ্চার হতেই হবে। দুয়ারে সরকার শিবিরে কোনও নির্দিষ্ট একটি দলের জন্য পরিষেবা প্রদান করা হয় না। এটা সাধারণ জনগণের জন্য নির্দিষ্ট।”
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় পুলিশবাহিনী। সেই সঙ্গে আসেন তুফানগঞ্জ -১ ব্লকের BDO দেবঋষি বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে BDO আলোচনার আশ্বাস দিলে ঘন্টাখানেক পর অবরোধ উঠে যায়। এই বিষয়ে BDO জানান, “এই ঘটনার কথা আমি স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনলাম। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
যদিও BJP-র মণ্ডল সভাপতি যুগল কিশোর দাস বলেন, “স্থানীয় বাসিন্দারা ওই ক্যাম্প তুলে দিয়েছিল। এর সঙ্গে আমাদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই। এই ধরনের কাজে আমাদের দল যুক্ত থাকে না, এমনকি আমাদের কোনও কর্মীও যুক্ত নন। যদি যুক্ত থাকেন, তাহলে তা তদন্ত করে প্রমান করা হোক।”
প্রসঙ্গত গত মঙ্গলবার তুফানগঞ্জ -১ ব্লকের নদীভাঙতি গ্রামে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বসলে বাসিন্দারা তা তুলে দেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদন জানালেও কোনও কাজ হয় না। তাই এই শিবির বসে কোনও লাভ নেই। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
খবর পেয়ে ওইদিন ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের কর্তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তুফানগঞ্জ -১ ব্লকের BDO দেবঋষি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”