দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে মেয়েকে না পাওয়ার পর সাঁকরাইল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের সদস্যরা। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে । পুলিশ তদন্ত নেমে জানতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত খড়গপুর লোকাল থানার রূপনারায়নপুর গ্রামের এক যুবক ওই নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে নিজের কাছে রেখেছে।
খবর পেয়ে রূপনারায়ণপুর গ্রামের বাড়িতে হানা দিলেও পুলিশ সেখানে কাউকে পায়নি। মোবাইলে ওপর নজরদারি চালিয়ে পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পারেন অভিযুক্ত যুবক তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। তারপরেই পুলিশ ওই যুবকের বাবা পদ্মলোচন ঘড়াই বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করে।
ধৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৩৬৩, ৩৬৬ এবং ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে তাঁকে ঝাড়গ্রাম আদালতে পেশ করে ৫ দিনের হেফাজত চায় পুলিশ। পাঁচ দিনের হেফাজত চাওয়া হলেও আদালত তাঁর তিনদিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছে। নাবালিকার খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্র জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার সঙ্গে অভিযুক্ত যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই কারণে ই পরিকল্পনা মাফিক তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এমনকী বিভিন্ন সোর্স কাজে লাগিয়ে ওই যুবকের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “ছেলেটি প্রেম করতে বলেই শুনেছি। হঠাৎ করেই দেখলাম ওর পরিবারের সবাই বাড়ি থেকে কোথায় চলে গেল। গতকাল রাতে পুলিশ বাড়িতে এসে তাঁর বাবাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছে। এর বেশি আমরা কিছু বলতে পারব না। শুনলাম কোনও নাবালিকাকে অপহরণের জন্যই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
তবে ঝাড়গ্রামে এই ধরনের ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও এক নাবালিকাকে গ্রেফতার করে ভিন রাজ্যে নিয়ে গিয়েছিল এক যুবক। সেক্ষেত্রেও যুবককে না পেয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরবর্তীকালে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের সূত্র ধরে নাবালিকা সময় ওই যুবককে গুজরাট থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয়েছিল। সাঁকরাইল থানার পুলিশের দাবি, এই যুবককে দ্রুত গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।