পঞ্চায়েত নির্বাচনে রক্তের বন্যা বইবে, এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। পান্ডুয়ায় BJP-র এক প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়ে বললেন একথা বলেছেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি নদীয়ার হাঁসখালিতে গুলি করে খুন করা হয় এক তৃণমূল নেতাকে। তিনি চুপড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি।
সেই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হুগলির সাংসদ বলেন, “নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে এসব হচ্ছে। কার হাতে ক্ষমতা থাকবে, সিন্ডিকেট, তোলাবাজি কার হাতে থাকবে এই নিয়েই গণ্ডগোল চলছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনে হচ্ছে রক্তের বন্যা বইবে। তৃণমূলের নিজেদের দলে রক্তের বন্যা বইবে, বিরোধী দলে বইবে এবং সাধারণ মানুষও এর মধ্যে খুন হবেন।”
প্রসঙ্গত রাম নবমীতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। তাই কাল রাজ্যে আসছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। রিষড়া, কাজীপাড়ার মানুষদের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গেও কথা বলবেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
সেই প্রসঙ্গে লকেট বলেন, “অবশ্যই আসা উচিত। কোনটা ঠিক কোনটা ভুল তারা নিরপেক্ষভাবে বিচার করুক। মানুষকে ফেক ভিডিয়ো প্রকাশ করে দিশেহারা করে দেওয়া হচ্ছে। সত্যিটা সামনে বেরিয়ে আসুক।” এই প্রসঙ্গে পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ রীতিমতো কটাক্ষ করেছেন সাংসদকে।
তিনি বলেন, “বাংলায় গণতন্ত্রের মাধ্যমে এর আগেও অনেক নির্বাচন হয়েছে। কোথায় খুন হয়েছে? কোথায় রক্ত গঙ্গা বয়েছে? দেখান তো একটাও। এটা গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ নয়, এটা বাংলা। বাংলার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন আছেন, বাংলা শান্তিতে চলবে।”
এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, “CPIM কঙ্কালের চাষ করেছিল। সেই CPIM ধুলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। তৃতীয় বারের সরকার আমাদের। কটা খুন হয়েছে? কত রক্তগঙ্গা বয়েছে? সাংসদ হওয়ার পর পান্ডুয়ায় বিধানসভায় কি করেছেন উনি? রক্ত গঙ্গার খেলা BJP খেলছে। সুকান্ত, শুভেন্দু, লকেট, দিলীপ, অমিত শাহ সবাইকে আমন্ত্রণ করছি। দেখুন এসে গণতন্ত্রের মাধ্যমে ভোট করব আমরা। কংগ্রেস, BJP, CPIM ঐক্যবদ্ধ হয়েও ৯০ শতাংশ প্রার্থী দিতে পারবে না। পান্ডুয়ায় গণতন্ত্রের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ভোট হবে।”