Mohammed Salim : ‘লুটের বখরা নিয়ে গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই হাঁসখালির তৃণমূল নেতা খুন’, দাবি সেলিমের – mohammed salim attacks tmc in hanskhalishootout case


Cooch Behar News : লুটের বখরা নিয়েই বিরোধ। সে কারণেই খুন হতে হয়েছে নদিয়ার হাঁসখালির তৃণমূল নেতাকে। মন্তব্য সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে। যে কারণে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দূরের কথা, শাসকদলের নেতা-কর্মীদের কোনও নিরাপত্তা নেই, হাঁসখালি ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে সমালোচনা সেলিমের।

Nadia Shootout: ভরা বাজারে চলল একের পর এক গুলি, হাঁসখালিতে শ্যুটআউটে মৃত্যু তৃণমূল নেতার
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে নদিয়া জেলার হাঁসখালির রামনগর বড় চুপড়িয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সহ-সভাপতি ছিলেন আহমেদ আলি বিশ্বাস প্রকাশ্য দিবালোকে খুন হন। বাইক চালিয়ে দুষ্কৃতীরা তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ঘটনায় উঠে আসছে গোষ্ঠী বিবাদের বিষয়। জমি ব্যবসায় শত্রুতার কারণে খুন হতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের।

Nadia News : বামপন্থী নেতার মূর্তির পাশ থেকে উপড়ে ফেলা হল লাল পতাকা, শোরগোল নদিয়ায়
বিষয়টি নিয়ে সিপিআইএম নেতা সেলিম বলেন, “লুটের বখরা নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। যার কারণেই খুন হয়েছে ওই নেতা।” শুক্রবার কোচবিহারে একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসেন সেলিম। সেখানেই রাজ্যের আইন – শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিকে আঙুল তুলে সেলিম বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে বলি রাজ্যের মানুষকে নিরাপত্তা দেবেন বলে ক্ষমতায় এসেছিলেন। নিজের মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারছেন না।”

Nadia News : বউদির আত্মহত্যার ৩ দিন পর নিমগাছে দেওরের ঝুলন্ত দেহ! নদিয়ায় চাঞ্চল্য
অন্যদিকে, ডিএ নিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে রাজ্য সরকারের আলোচনায় বসা নিয়ে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে সে প্রসঙ্গে মহঃ সেলিম বলেন, “ক্ষমতায় আসার তৃণমূলপন্থী সরকারি কর্মীদের সংগঠনের সঙ্গে দু’একবার আলোচনায় বসেছিলেন। বিরোধীদের সঙ্গে কোনওদিন বসেননি। তাই হাইকোর্ট নির্দেশ দিচ্ছে।” বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবের ভূমিকারও সমালোচনা করেন তিনি।

Nadia News : নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়া ২ বছর, আদালতের নির্দেশে বাড়ির পথে নবদ্বীপের পরিবার
পাশাপাশি, তফসিলি উপজাতি ও সারনা ধর্মের স্বীকৃতির দাবি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন চালাচ্ছে কুড়মি সম্প্রদায়। যার জেরে একাধিক জাতীয় সড়ক অবরোধ। বাতিল হচ্ছে একের পর এক দূরপাল্লার ট্রেন। সড়ক পথে বন্ধ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্রের যোগাযোগ ব্যবস্থা। সংকটে নিত্য যাত্রী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা। কুড়মি সমস্যার সমাধানে শীঘ্রই কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়কেই আলোচনায় বসার পরামর্শ দেন সেলিম

তাঁর প্রশ্ন, কুড়মিদের দাবিদাওয়া নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার কেন আলোচনা করছেন না ? কিছু দাবি আছে কেন্দ্রের কাছে। কিছু রাজ্যের কাছে। ভোটের সময় শুধু এদের ব্যবহার করেন। কাজের কাজ কিছু করেন না। আর যার ফলে এরা রেল অবরোধ করছে। মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। তাই অবিলম্বে উভয় তরফেই আলোচনায় বসা প্রয়োজন বলে দাবি তাঁর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *