আহত স্কুল ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেকদিনের মতো বৃহস্পতিবারও ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পঠন পাঠনের জন্য গিয়েছিল বিউটি। বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন চলাকালীন হঠাৎই ছাদে লাফ দেয় একটি হনুমান। এর পরেই একটি চাঙর ভেঙে পড়ে ছাত্রীর মাথায়। ঘটনার খবর পরিবারে কাছে আসতেই বিদ্যালয়ে ছুটে যান ছাত্রীর বাবা বুদ্ধদেব সরকার। তড়িঘড়ি ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে নিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।, সেখানে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকার কারণে চিকিৎসকেরা শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করেন।
আহত স্কুল ছাত্রীর বাবা বুদ্ধদেব সরকার জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ের মাথায় বেশ খানিকটা জায়গা জুড়ে কেটে গিয়েছে। এছাড়াও গভীর আঘাত লাগার কারণে ভেঙে যায় পা। যদিও গতকাল শক্তিনগর হাসপাতালে চিকিৎসার পর আজ স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে আসা হয় বাড়িতে।
বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটার পর শুক্রবার ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক স্কুলের পরিস্থিতি দেখতে আসেন। এর পরেই বিদ্যালয়ের ভগ্ন দশা নিয়ে একাধিক ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। অধিকাংস অভিভাবকদের দাবি, যতদিন না পর্যন্ত বিদ্যালয়ের ভগ্নদশা ঠিক হচ্ছে এবং ভবন সংস্কার না করা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত তাঁদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাবেন না তাঁরা। কারণ যেকোনও সময়ে আবার এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এই ঘটনার পর থেকে যথেষ্টই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। যদিও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অতনু শ্রীমানী বলেন, “হনুমানের উৎপাতের ফলে ছাদের চাঙর ভেঙে পড়েছে। ঘটনাটি আমরা জানার পরে আহত ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বাবা মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। এছাড়াও ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি যে ঘরে এই ঘটনা ঘটেছে, সেই ক্লাসরুমটি যাতে দ্রুত ঠিক করার ব্যবস্থা করা হয় সেই নিয়ে উদ্বোধন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”