মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: নির্মল মাজিকে নিয়ে ফের বিতর্ক! এবার চিকিত্সকদের হুইস্পার ক্যাম্পেনিংয়ের পরামর্শ দিলেন নির্মল মাজি। চেম্বারে পরেই হোক বা চেম্বারের বাইরে কিংবা রাস্তাঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পের প্রচারের আর্জি জানিয়েছেন নির্মলবাবু। এনিয়ে শুরু হয়ে গেল বিতর্ক।
আরও পড়ুন-রান্নার গ্যাসের দাম কমল ৬ টাকা, সস্তা হল সিএনজিও
শনিবার ছিল চিকিত্সকদের একটি সংগঠনের সম্মেলন। সেখানেই তিনি বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন খুব বেশি দেরি নেই। তার আগেই হুইস্পার ক্যাম্পেনিং শুরু করে দিতে হবে। চেম্বারে অনেক রোগীই আসেন। তাদের পরামর্শ দেওয়ার পর বা চেম্বার শেষ করার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা বলুন। কারণ এমাসেই ভোটের দিন ঘোষণা হবে। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে।
ওইসব পরামর্শ দেওয়াই শুধু নয়, বেসরকারি হাসপাতালগুলির কাছে নিজেকে ডন বলে সম্মোধন করেন নির্মল মাজি। কাঠগড়ায় তোলেন বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে। তিনি বলেন কীভাবে বেসরকারি হসপাতালগুলিকে অনুমতি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে? এনিয়ে তিনি নিশানা করেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য় আধিকারিকদের। এসবের উপরে নজর রয়েছে। রাজ্যের পাঁচতারা যেসব হাসপাতালগুলি রয়েছে সেইসব হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে তাঁর কাছে ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে। সেখানে আরএমও হয়ে যাচ্ছেন আয়ুর্বেদের ডাক্তাররা। সিসিইউতে তারা কাজ করছেন। এনিয়ে তাঁর নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে।
নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে নির্মল মাজি বলেন তিনি দুর্নীতি করেন না। জেলার কর্মীদের মতো তাঁর তিনতলা বাড়ি নেই। নির্মলবাবু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৭৩টি প্রকল্পের কথা একটু একটু বলুন। পজিটিভ দিক গুলো বলুন। স্বাভাবিকভবেই এনিয়ে হইচই তৈরি হয়েছে চিতিত্সক মহলে। বহু চিকিত্সকই এটিকে খুব বেশি ভালো বলে মনে করছেন না।
নির্মল মাজির ওই মন্তব্য নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দিলীপ ঘোষ বলেন, হুইস্পারিং ক্যাম্পেনিং কেন করবেন। আপনারা টিএমসির লোক। সরাসরি প্রতার করুন। কেন না বলেছে। ডাক্তারবাবু কি লজ্জা পাচ্ছেন তা বলতে? যাই করন মানুষের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। সরকারি কর্মীরা রাস্তায় বসে রয়েছেন ডিএ-র জন্য। কে উত্তর দেবে? ডাক্তারবাবুরা দেবেন?