হঠাৎ দুর্গাপুর অভিমুখিই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিছন থেকে ধাক্কা মারে ওই মোটরভ্যানটিকে। এর ফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২ জনের। অপর ২ জন গুরুতর জখম অবস্থায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর একাধিকবার পুলিশকে ফোন করা হয়।
তা সত্ত্বেও প্রায় দেড় ঘন্টা পর পুলিশ আসে। প্রতিবাদে তারা বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ করেন ও দেহ তুলতে বাধা দেন। অবরোধের জেরে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় ১৯ নং জাতীয় সড়কে। পরে পুলিশি আশ্বাসে ওঠে অবরোধ। পুলিশ দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়।
এই দুর্ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “ভোরের দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যেখানে এই পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানেই আমি ছিলাম। মোটরভ্যানটি ঠিকঠাক নিয়ম মেনেই জাতীয় সড়কে যাচ্ছিল। কিন্তু ওই লরিটিই দ্রুতগতিতে বেপরোয়া ভাবে সড়কের ওপর চলছিল।
সেটাই হঠাৎ করে তীব্র গতিতে এসে মোটরভ্যানটিকে ধাক্কা মারে। তাতেই মোটরভ্যানটিতে থাকা সবাই ছিটকে পড়েন। আমরা তাড়াতাড়ি ছুটে গিয়েই বুঝতে পাড়ি, ২ জন মারা গিয়েছেন”। আর এক স্থানীয় বাসিন্দা পুলিশের দিকে অভিযোগে আঙুল তুলে বলেন, “এই দুর্ঘটনা ঘটার পরেই আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দিই।
কিন্তু পুলিশ কেন আসতে এত দেরি করল, এটাই আমাদের প্রশ্ন। পুলিশ দেরিতে আসার ফলে বাকি আহত ২ জনের প্রাণ সংশয় হতে পারে। এই কারনেই আমরা বিক্ষোভ দেখিয়েছি”। উল্লেখ্য, স্থানীয়রা বলছেন, ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের এই এলাকা যথেষ্ট দুর্ঘটনা প্রবণ। মাঝে মধ্যেই ছোট বড় দুর্ঘটনা হয় এখানে। অথচ পুলিশ বা প্রশাসনের কোনও হোলদোল নেই যে এখানে একটি ট্রাফিক পিকেট বসানোর বা যান চলাচল নিয়ন্ত্রন করার।