শনিবার বর্ধমান জেলার যুবমোর্চা সভাপতি পূরব শ্যাম ওরফে পিন্টুর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তাঁর অভিযোগ, শুক্রবার বর্ধমানের কার্জন গেট এলাকায় শুভেন্দু অধিকারীর সভা ছিল। সেই কারণে গোটা জিটিরোড জুড়ে বিজেপি দলীয় পতাকা লাগানো হয়েছিল। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সেই পতাকাগুলি খুলে ফেলছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় যুবমোর্চা সভাপতি বাইকে করে সেই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। ঘটনার প্রতিবাদ করতেই দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর চড়াও হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ছুরি দিয়ে তাঁর উপর চড়াও হয়। হাত দিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁর বাঁ হাত ছুরির আঘাতে জখম হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই বিজেপি নেতা। এরপর কোনওরকমে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে বাঁচেন তিনি। পরে জেলা সভাপতি সহ অনান্য কর্মীদের খবর দিলে তাঁরা ঘটনাস্থলে আসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি নেতার আঘাত গুরুতর নয়।
গোটা ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। বর্ধমান জেলা কমিটির (Bardhaman District BJP) সভাপতি অভিজিৎ তাঁ এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “গতকাল বিজেপির কর্মসূচিতে লোক দেখে ভয় পেয়েছে তৃণমূল। তাই এই আক্রমণ চালানো হয়েছে। রাজ্যে একপ্রকার অরাজকতা চলছে। আইন-শৃঙ্খলা নেই রাজ্যে, আইনের শাসন ভেঙে পড়েছে। আমরা এই ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি যাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
যদিও গোটা ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল। শাসকদলের দাবি পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তেজনা ছড়াতেই মিথ্যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। তৃণমূল রাজ্যকমিটির মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস পালটা বলেন, “এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে উত্তেজনা ছড়াতেই মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। এমনিতেই বর্ধমানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত বিজেপি। কয়েকদিন আগেই পার্টি অফিসের বাইরে দু’দল বিজেপি সমর্থকের মধ্যে কোন্দল হয়েছে। তবুও তাদের যদি কোনও অভিযোগ থাকে তারা পুলিশকে জানান নিশ্চয়ই পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।”