আর কেন্দ্রের টাকায় ফুর্তি করবেন। তাই ওটা বন্ধ করেছেন। এই সরকারের মধ্যে কোনও সমন্বয় নেই। কোনও বার্তা নেই । কেবল আন্দোলন করতে ব্যস্ত। প্রশাসনে মন নেই। তাই এই ঘটনা ঘটছে”। শনিবার দলের SC মোর্চার কর্মীদের প্রশিক্ষণ শিবিরে মালদায় এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে BJP-র সর্ব-ভারতীয় সহ সভাপতি ও সাংসদ দিলীপ ঘোষ এই বিষয়ে মন্তব্য করেন। শুধু তাই নয়, দিলীপ কথা বলেছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের দণ্ডী কাটা প্রসঙ্গেও। তিনি বলেন, “অত্যন্ত অমানবিক ঘটনা যে আদিবাসী মহিলাদেরকে তৃণমূলে যোগদানের জন্য দন্ডী কাটতে বাধ্য করা হচ্ছে।
সভ্য সমাজে এটা মেনে নেওয়া যায় না। অর্জুন সিং, রাজীব ব্যানার্জিকে তো দন্ডি কাটতে হয়নি। গরিব বলেই কি আদিবাসী মহিলাদেরকে দিয়ে দন্ডী কাটাতে হবে”? প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ। সুকন্যা মণ্ডলকে দিল্লিতে তলব প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ বলেন, “এই তলব চলতে থাকবে যতক্ষণ না ওনারা সহযোগিতা করবেন। এরপর পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
ওনার বাবা দশবার ডাকার পর গিয়েছিলেন। ইনিও হয়তো ১০-১২ বার অপেক্ষা করছেন। তবে যেতে একদিন হবেই”। রাজ্যের জঙ্গলমহলে কুড়মি আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রতিটি সমাজ নিজেদের জন্য আন্দোলন করছে। ওনারাও আন্দোলন করছেন। তাদের জাতিগত রিজার্ভেশনের জন্য আন্দোলন করছেন।
দেশে একটা কমিটি আছে, ব্যবস্থা আছে, সেখানে আপিল করে তথ্য প্রমাণ দেওয়া উচিত। তারা যদি মনে করেন কুড়মিরা এটা পাওয়ার যোগ্য তাহলে অবশ্যই দেবেন”। সেই সঙ্গে মালদাতে এসে দিলীপ তুলে ধরেছেন জাল নোটের প্রসঙ্গও। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মালদার কালিয়াচক এলাকা দিয়ে জাল নোট এবং মাদক সবচেয়ে বেশি আসে।
করিডর এটা। কেন বন্ধ হচ্ছে না? এই কারনে ওখানে রাস্তা তৈরি করতে দেওয়া হচ্ছে না। তার জন্য অনেক লড়াই হচ্ছে। রাজ্য সরকার যদি না চায় এটা বন্ধ হবে না। হয়তো এদের লোকেরাই যুক্ত আছে।
তার থেকে পার্টি উপকৃত হচ্ছে তাই। এর জন্য কেবল পশ্চিমবঙ্গ নয়, সারা ভারতবর্ষের সুরক্ষা বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই এটা বন্ধ করা উচিত। কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলা উচিত। সহযোগিতা চাওয়া উচিত”।