শনিবার সকালে গঙ্গাসাগরের চক ফুলডুবি এফপি স্কুলে উপস্থিত হন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী। রাজ্য সরকারের প্রত্যেকটি প্রকল্পের সুবিধা যাতে সাধারণ মানুষ ও সাগরের বাসিন্দারা পান, তা নিশ্চিত করতে ঠায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বসে থাকেন তিনি।
সাধারণ মানুষ সঠিকভাবে সমস্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে কিনা তা যাচাই করে দেখার পাশাপাশি সেখানে উপস্থিত উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায় মন্ত্রীকে। সাগরের ব্লগ উন্নয়ন আধিকারিকের সঙ্গে একাধিকবার তাঁকে কথা বলতে দেখা যায়।
দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে উপস্থিত অনেক উপভোক্তাই সঠিকভাবে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ফর্ম ফিলাপ করতে পারছিলেন না। তখনই সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা নিজের হাতে উপভোক্তাদের সেই ফর্ম ফিলাপ করে দেন।
মন্ত্রীকে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে যেতে দেখে স্বাভাবিকভাবেই খুশি সেখানকার বাসিন্দারা। যাবতীয় সমস্যার কথা মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন তাঁরা। মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ছাড়াও এদিনের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন সাগর পঞ্চায়েত সমিতির প্রধান আব্দুল সামির, মুড়িগঙ্গা দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গোবিন্দ মণ্ডল সহ একাধিক জনপ্রতিনিধিরা।
সাগর ব্লকের দুয়ারে সরকার ব্লকে মা ও শিশু আলয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দুয়ারে সরকারের পরিষেবা পাওয়ার জন্য যেসব মায়ের সেখানে আসবেন, তাঁর মা ও শিশু আলয়ে শিশুদের দুধ গরম করে খাওয়াতে পারবেন। সেখানে শিশুদের চকোলেট দেওয়ার বন্দোবস্তও করা হয়েছে।
দুয়ারে সরকার ক্যাম্প নিয়ে মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ষষ্ঠ দফার দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সেই কারণে এই স্কুলে পরিদর্শনে এসেছি। সেখানে এসে দেখলাম প্রচুর মানুষ দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁরা বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য আবেদন করছেন। আমি সরকারি আধিকারিকদের পাশাপাশি আমিও একজনের ফর্ম ফিলাপের কাজে সাহায্য করেছি।”
স্থানীয় বাসিন্দা অনীতা সাঁতরা এই প্রসঙ্গে বলেন, “দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে এসেছিলাম। মন্ত্রী এখানে মানুষের সমস্যার কথা শুনছেন। আমাদের খুবই ভালো লাগছে ওনাকে কাছে পেয়ে। সমস্যার কথা জানিয়েছি, এখন কবে সমাধান হয় দেখা যাক।”