শিশির মণ্ডল তখন বাইকে ছিলেন। সেই সময় ধাক্কা লেগে তিনি বাইক থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে যান। সম্ভবত মাথায় আঘাত লেগেই তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত সঠিকভাবে মৃত্যুর কারন বলা সম্ভব নয়। দুর্ঘটনার পরে শিশির মণ্ডলকে তড়িঘড়ি বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘাতক লরিটিকে আটক করেছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ।
যদিও চালক ও খালাসি পলাতক বলে জানা গিয়েছে। ওই ২ জনের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মৃত পুলিশকর্মী শিশির মণ্ডলের বয়স আনুমানিক ৪৪। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে ৬টা নাগার শিশিরবাবু যখন রাস্তায় ইউ টার্ন নিচ্ছিলেন, সেই সময় এক বালি ভর্তি লরি হঠাৎ এসে তাঁকে ধাক্কা মারে।
এর ফলে তিনি বাইক সমেত রাস্তার ওপরেই ছিটকে পড়েন। পড়ে গিয়েই তিনি সংজ্ঞা হারান। রক্তাক্ত অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জানা যায় তিনি আর বেঁচে নেই। এই খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ঠাকুরপুকুর থানায়। ভেঙে পড়েছে তাঁর পরিবার।
এক স্থানীয় বাসিন্দা এই বিষয়ে জানান, “বেহালা চৌরাস্তা থেকে শুরু করে ঠাকুরপুকুর, বড়িশা সমস্ত এলাকা এখন দুর্ঘটনা প্রবণ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সকালের দিকে ও রাতের বেলায় যখন রাস্তা ফাঁকা থাকে, সেই সময় লরিগুলি এতটাই বিপদজনক ভাবে চলাচল করে যে আমাদের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে ভয় লাগে।
শুনলাম আজ সকালেও যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই সময় লরিটি যথেষ্ট দ্রুতগতিতে চলছিল। এই জায়গাগুলি অত্যন্ত জনবহুল এলাকা। এখানে যে কোনও যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রন হওয়া উচিৎ। প্রশাসন এদিকে একটু নজর দিক। নাহলে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে, আর কারোর না কারোর মৃত্যু হতেই থাকবে”।