Raiganj News : এমএ পাশ ফেরিওয়ালা! শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন ভুলতে বসেছেন রায়গঞ্জের রাজকুমার – raiganj hawker rajkumar mahato is a masters graduate and wanted to participate in olympics


পড়াশোনা শিখেও জীবনের প্রত্যেকটি দিন নতুন করে সংগ্রাম করে চলেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের উচ্চশিক্ষিত এক যুবক। রায়গঞ্জ ব্লকের মণিপুর অঞ্চলের কান্তরের বাসিন্দা রাজকুমার মাহাতো (২৫) পেশায় ফেরিওয়ালা। তবে পড়াশোনার জন্য রায়গঞ্জ শহরের উকিলপাড়া বর্তমানে তাঁর অস্থায়ী ঠিকানা।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তপ পাশের পাশাপাশি ক্যারাটেতেও ব্ল্যাকবেল্ট রাজকুমার। ছোট্ট ঠেলাগাড়িতে মনিহারি সামগ্রী সাজিয়ে গ্রামে গ্রামে ফেরি করে বেড়ায় রাজকুমার। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফেরিগাড়ি নিয়ে গ্রামগঞ্জে ঘুরে বেড়ায় সে।

Uttar Dinajpur : স্বপ্ন যখন সত্যি, উত্তর দিনাজপুর থেকে সোজা বলিউডে পাড়ি ৩ নৃত্যশিল্পীর
পরিবারের সদস্যদের সুখে শান্তিতে রাখাই রাজকুমারে কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এর পাশাপাশি জীবনে প্রতিষ্ঠান পেতে দিনরাত উজার করে পরিশ্রম করে চলেছেন রাজকুমার। সপ্তাহে ৩ দিন রায়গঞ্জ শহর ও শহরতলি এলাকায় ক্যারাটে প্রশিক্ষণ দিতেও দেখা যায় তাঁকে।

ফেরিওয়ালা রাজকুমারের পেশার সঙ্গে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা মোটেই মানানসই নয়। কিন্তু, তা সত্ত্বেও লড়াই থামাতে রাজি নন রাজকুমার। পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এই পেশাকেই বেছে নিয়েছেন তিনি। রাজকুমারের বাবা পেশায় কৃষক। অনটনের সংসারে একটি সরকারি চাকরির খুব প্রয়োজন থাকলেও নিজের পেশাকে পরিহাস বলতে মানতে নারাজ সে।

Bangladesh Trending News : স্বামী তালাক দেওয়ায় প্রতিশোধ, শ্বশুরবাড়ির গোরু-ছাগল নিয়ে চম্পট স্ত্রী!
ভগিলতা হাই স্কুল থেকে ২০১৫ সালে মাধ্যমিক ও ২০১৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন রাজকুমার। উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান অনার্স নিয়ে ভর্তি হন তিনি। এরপর রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন রাজকুমার।

স্নাতকোত্তর করার সময় রায়গঞ্জে চলে এসেছিল রাজকুমার। মেলার বেলুন বিক্রি করে নিজের পড়াশোনার খরচ জোগাতেন তিনি। কিছু টাকা পয়সা জোগাড় হতেই ভ্যানগাড়ি তৈরি করে মনিহারি সামগ্রী বিক্রি করতে শুরু করেন। একই সঙ্গে চলছিল ক্যারাটে প্রশিক্ষণ। ক্যারাটে ব্ল্যাক বেল্ট পাওয়ার পর গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য মহারাজা মোড়ে একটি স্কুলও চালু করেছেন তিনি।

Malda News : মহাকাশের নেশায় বুঁদ! বছর বারোর শৌর্য একদিন আকাশ ছোঁবে, আশায় পরিবার
রাজকুমারের ইচ্ছে অলিম্পিকে অংশ নেওয়া। তিনি আত্মবিশ্বাসী যে অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেলে দেশের হয়ে সোনা তিনি আনবেনই। ২০ মার্চ পায়ে হেঁটে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন রাজকুমার। ৬ দিনে কলকাতা পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে থাকলেও সেই সুযোগ হয়নি।

উকিলপাড়ার এক বাসিন্দা রাজকুমারকে থাকতে দিয়েছেন, এজন্য কোনও ভাড়া নেন না। রাজকুমার জানিয়েছেন তাঁর শিক্ষকতা করার স্বপ্ন ছিল। এরপরই তাঁর আক্ষেপ, “আমাদের মতো গরিব ছেলেমেয়েদের কেউ চাকরি দেয় না। শুধুমাত্র টাকা ফেললেই চাকরি পাওয়া যায়। “



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *