আগামী ১০ই এপ্রিল খেজুরি ঠাকুরনগর গ্রাম সংলগ্ন মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক জনসভার পালটা জনসভার ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার আগে শুক্রবার গভীর রাতে খেজুরিতে বারাতলা সহ বিস্তীর্ণ গ্রামের BJP কর্মীদের বাড়ি ও দোকানে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। লুঠপাট থেকে শুরু করে, জিনিসপত্র ভাঙচুর করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগ পুরোপুরি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত খেজুরি সহ এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার গভীর রাতে খেজুরির বারাতলা গ্রাম উত্তপ্ত হয়ে উঠে। একাধিক গৃহস্থের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠে। জিনিসপত্র ভাঙচুর করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি এলাকায় BJP সমর্থক হিসেবে পরিচিত। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট রয়েছে। খেজুরি থানার OC অমিত দেব বলেন, “দু’পক্ষের টাকা পয়সা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে গণ্ডগোল হয়েছে। একজন অভিযোগ দায়ের করেছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে”।
এই হামলার অভিযোগ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে BJP নেতৃত্ব। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার BJP-র সাধারণ সম্পাদক তথা খেজুরির BJP নেতা তাপস দলুই বলেন,”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভায় একেবারে লোকজন হয়নি। সেই প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূলের হার্মাদরা।
শুভেন্দু অধিকারীর পালটা সভা রয়েছে। তাই এই হামলা চালানো হয়েছে যাতে শুভেন্দুর সভায় কোনও লোক না যায়। এইভাবে BJP-কে আটকানো যাবে না। শুভেন্দু অধিকারীর জনসভায় দশ গুণ বেশি লোক হবে। তখন তৃণমূল দেখা ছাড়া আর কিছুই করতে পারবে না।
আসলে এত এত দুর্নীতি করে তৃণমূল নিজেই ভয়ে রয়েছে। তাই এসব করে মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চাইছে”। এদিকে, খেজুরির প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা রঞ্জিত মণ্ডল বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে দেখছি আসলে কি হয়েছে”।