অর্থাৎ রায়গঞ্জের পুর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস ও নব্য তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর দ্বন্দ্ব এবার চলে এল দিনেদুপুরে প্রকাশ্যে। আশ্চর্যের বিষয় এই যে, ইতিমধ্যেই রায়গঞ্জ শহরের ২৭ টি ওয়ার্ডেই একজন করে ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর রয়েছেন। পুরসভার নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষে প্রাক্তন চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাসকেই পুর প্রশাসকের দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্য পুর দফতর।
তার ওপর প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর প্রতিনিধি! যদিও বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর সাফাই, মানুষকে আরও ভালো পরিষেবা দিতেই এই সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, “এর পিছনে ব্যক্তিগত বা দলীয় কোনও কারন নেই। রায়গঞ্জ পুরসভার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের প্রতিটি মানুষ যাতে উপযুক্ত পরিষেবা পান, তাই বিধায়ক হিসেবে আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি”।
যদিও এই প্রসঙ্গে রায়গঞ্জের উপ পুর প্রশাসক অরিন্দম সরকার বলেন, “দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কেউ এমন পদ সৃষ্টি করতে পারেন না। দল থেকে এমন কোনও নির্দেশ আমাদের কাছে পাঠানো হয়নি। বিধায়কের অভিজ্ঞতা কম। তিনি সদ্য ২০২১ সাল থেকে রাজনীতি করছেন।
তাঁর কোম্পানী চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু দল চালানোর অভিজ্ঞতা কম। তাই এটাকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না”। অপরদিকে জেলা BJP সভাপতি বাসুদেব সরকার তৃণমূল নিজেরাই নিজেদের ওপর ভরসা রাখতে পারছে না বলে কটাক্ষ করেছেন। বাসুদেব বাবু বলেন, “তৃণমূল দলটাই এরকম। আজ উনি এক বলছেন তো কাল অন্য কেউ তার উলটোটা করছেন।
আসলে দলে কোনও বাঁধন নেই। তাই যে যা খুশি করতে পারেন ওই দলটিতে। ওদের মধ্যে যেমন প্রচুর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে, তেমনি রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়েছে দুর্নীতি। আর এসব কিছুই হচ্ছে দুর্নীতির কারনে। তাই কেউই কারোর ওপর ভরসা রাখতে পারেন না”। যদিও তৃণমূল বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও, ভোটের আগে যে এসব ব্যাপারই কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলবে, তা দাবি করে বলছে জেলার রাজনৈতিক মহল।