ওই তৃণমূল কর্মীকে খুন করা হয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। মৃত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের ইঙ্গিতও সেদিকেই। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের পুরসুড়ি গ্রামে। জানা গিয়েছে, পেশায় কৃষক পুড়শুড়ি গ্রামের বাসিন্দা বটকৃষ্ণ পাল ঘোষিত তৃণমূল কর্মী।
বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর। আজ শনিবার সকাল ১০ টা নাগাদ তার বাড়ি থেকেই তার রক্তাক্ত গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বটকৃষ্ণ, একটি নতুন পাকা বাড়ি করেছেন তার পুরাতন মাটির বাড়ির থেকে কিছুটা দূরে। আর সেই পাকার বাড়িতে রাতে একাই থাকতেন তিনি।
এই বিষয়ে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী কাজল কুমার সর্দার বলেন, “বটকৃষ্ণবাবু আমাদের দলের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকেই তিনি এই দল করতেন, সমস্ত কর্মসূচিতে থাকতেন। আজ সকালে আমরা হঠাৎ খবর পাই যে ওনার পাকা বাড়িতেই ওনার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। আমরা ছুটে গিয়ে দেখি যে উনি গলা কাটা অবস্থায় পড়ে আছেন।
শুনেছি উনি রাতে এই পাকা বাড়িতেই থাকতেন, আর সকাল হলে নিজের পুরাতন বাড়িতে ফিরে যেতেন। উনি নিজের জীবনযাপন ও চাষবাস নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। কারোর সঙ্গে কোনও শ্ত্রুতা ওনার ছিল না”। কাজল বাবু আরও জানান, “আমাদের এই গ্রাম তথা সন্নিহিত এলাকায় এই ধরনের ভয়ানক ঘটনা এই প্রথম ঘটল।
আমরা কোনোদিন এরকম হত্যাকাণ্ড দেখিনি। পুলিশকে সঠিক তদন্ত করে দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাবো”। বটকৃষ্ণের পরিবারও দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারি চেয়েছে। তাঁদের দাবি, বটকৃষ্ণকে কেউ খুন করে পালিয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় গোটা গ্রামে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এটি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কাজ কিনা, সেই বিষয়ে কিছু বলতে পারছেন না কেউই।