শনিবার রাতে পুলিশের কাছে খবর আসে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এক ব্যক্তি বাজার এলাকায় ঘোরাঘুরি করছে। এই খবর আসামাত্র কুলতলি থানার সাব ইন্সপেক্টর দীপঙ্কর দাস ও তাঁর টিম বেড়েরহাট এলাকায় রওনা দেয়। পুলিশকে দেখামাত্রই সেখান থেকে দৌড় দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সুকুমার। তাকে ধাওয়া করে বেড়েরহাট প্রাইমারি স্কুলের সামনে থেকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সুকুমার সর্দার কুলতলির ৬ নম্বর জালাবেড়িয়ার এলাকার বাসিন্দা। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয় লোডেড ফারাম আর্মস (২ টি কার্তুজ একটি লং পাইপগান)। বন্দুকে গুলি ভরে কেন সুকুমার বাজার এলাকায় এসে ঘুরছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কুলতলি থানার পুলিশ জানিয়েছে, এলাকায় একাধিক অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল এই সুকুমার। কুলতলির বুলেট খুনের অন্যতম অভিযুক্ত সে। ধৃতের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করেছে কুলতলি থানার পুলিশ।
রবিবার সুকুমার সর্দারকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশ নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছে। এই আগ্নেয়াস্ত্র সে কোথা থেকে জোগাড় করল ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কেনো বাজার এলাকায় আসার কারণ খুজছে পুলিশ। সুকুমারের সঙ্গে কোনও অস্ত্র পাচারের যোগ রয়েছে কিনা তাও ঘেঁটে দেখা হচ্ছে।
পাশাপাশি, সুকুমারের কাছ থেকে এলাকার আরও কোনও দুষ্কৃতীর খোঁজ পাওয়া যায় কিনা সে ব্যাপারেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর মাসেও কুলতলি থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পুলিশের জালে ধরা পড়ে তিন দুষ্কৃতী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কুলতলির ৪ নম্বর নলগড়া এলাকায় হানা দেয় পুলিশ।
সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় তিন দুষ্কৃতীকে। তাদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শটার, এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। ধৃতরা মন্দিরবাজার ও ঢোলার বাসিন্দা বলে জানায় পুলিশ। তবে একের পর এক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে লাগাতার একাধিক জেলা থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটে চলেছে।