প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, কফি হাউস গড়ে তোলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দিঘার অপরূপ পরিবেশে, সমুদ্রের মুক্ত বাতাসে সঙ্গে পর্যটকরা কফি কাপে চুমুক দিয়ে কফি হাউস স্পেশাল আড্ডার মজা উপভোগ করতে পারবেন। সেই সঙ্গে ওল্ড দিঘায় বিশ্ব বাংলা গেটের অদূরে দে’জ পাবলিশার্স তাদের বুকস্টলের পাশাপাশি কফি ক্যাফেও গড়ে তুলেছেন। সেই কথাও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”আগের থেকে দিঘায় এখন অনেক হোটেল, দোকান বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে পর্যটকদের আনাগোনাও বেড়েছে। কর্মসংস্থান বেড়েছে। দিঘায় দে’জ পাবলিশার্স সমুদ্র পাড়ে সুন্দর একটি বুক স্টল তৈরি করেছে। সেই সঙ্গে কফি ক্যাফেও তৈরি করছে। সব মিলিয়ে দিঘায় পর্যটকদের জন্য সরকারি বা বেসরকারি নানা পরিষেবা তুলে ধরা হচ্ছে।”
সারাদিনের ব্যস্ততার মাঝে এক কাপ কফিতে চুমুক দিলে সব ক্লান্তি যেন দূর হয়ে যায়। অনেকেই কর্মসূচি ঠাসা রুটিন থেকে একটু ছুটি নিয়ে দিঘায় ক্লান্তি দূর করতে আসেন। কলকাতার কফি হাউসের মতো দিঘার সমুদ্রপাড়ে বসে কফি হাউসে কফি খাওয়ার মজাটাই আলাদা হবে বলে মনে করছেন পর্যটকরা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কফি হাউস গড়ে তোলার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। দ্রুতই সেই কাজ শেষ হবে। যাতে শীঘ্র দিঘার সমুদ্র পাড়ে কফি হাউস পর্যটকদের জন্য চালু করা যায় সেদিকে নজর জেলা প্রশাসনের।
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ”মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা দিঘায় একটি কফি হাউস গড়ে তুলছি। দিঘায় বিনোদনের নানা মাধ্যম গড়ে উঠলেও সেইভাবে কফি হাউস ধাঁচের ক্যাফে নেই। তাই আমরা পর্যটকদের কথা ভেবে কফি হাউজ তোলার পরিকল্পনা নিয়েছি।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণার পর জগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গে সঙ্গে কফিহাউসও খোলার জন্যেও অধীর আগ্রহে অপেক্ষার শুরু দিঘা প্রেমী বাঙালির।