কুণালের এই মন্তব্যের পর মুখ খোলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তিনি বলেন, “সংবাদমাধ্যমে এই কথা বলা ঠিক হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিলে পার্কিং ফি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।” সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার হলেও বিতর্ক এখনও থামেনি। ফের একবার মন্তব্য পালটা মন্তব্য চলছে ফিরহাদ-কুণালের মধ্যে।
অভিমানের সুর ফিরহাদের গলায়?
বর্ধিত পার্কিং ফি নিয়ে বিতর্কের মাঝেই ফিরহাদ হাকিমের গলায় যেন কিছুটা অভিমানের সুর। রবিবার চেতলার একটি অনুষ্ঠানে কলকাতার মহানাগরিককে বলতে শোনা যায়, “২৫ বছর ধরে আমি কাউন্সিলর, আপনাদের সেবা করেছি। আমার বয়স হয়ে গিয়েছে। মানুষ আসবে, মানুষ যাবে, উন্নয়ন থাকবে। আজকের বাচ্চা ছেলেরা সমাজের মাথা হবে, সমাজের উন্নয়ন করবে।” এরপরই নানা জল্পনা শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে। তবে কি দলের সঙ্গে কোনওভাবে দূরত্ব তৈরি হয়েছে ফিরহাদের? মান অভিমানের পালা চলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে? ধেয়ে আসে নানা মন্তব্য।
ক্লোজড চ্যাপ্টার!
ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য নিয়ে জল্পনার অবসান ঘটাতে সাংবাদিক বৈঠক করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “একটি ছোট ইস্যু ছিল। সেই চ্যাপটার ক্লোজড। ববিদা সিনিয়র নেতা। সিনিয়র সংগঠক। পুর প্রশাসনের সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত। ববিদা এ দিন যা বলেছেন তা জীবন দর্শনের কথা বলেছেন। তার সঙ্গে চলতি কোনও ইস্যুর সম্পর্ক দেখছি না। একজন সিনিয়র মানুষ তিনি তাঁর জীবন দর্শনের কথা বলবেন, এতে মধ্যে আমি কোনও ভুল বোঝাবুঝি, দ্বন্দ্ব, অভিমান দেখছি না।” অর্থাৎ দলের সঙ্গে ফিরহাদ হাকিমের দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে মানতে নারাজ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।
