ইতিমধ্যেই ১২০ ঘন্টা অতিক্রম করেছে কুড়মি সমাজের এই আন্দোলন। কুড়মিদের নিয়ে পাঠানো CRI রিপোর্ট উপর অবিলম্বে জাস্টিফিকেশন কেন্দ্রের কাছে পাঠাতে হবে রাজ্যকে, এই দাবি নিয়ে জঙ্গলমহলে টানা আন্দোলনে কুড়মি সমাজের মানুষেরা। এবার আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর।
অজিত মাইতির দাবি, ”মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কুড়মি ভাইদের জন্য সমস্ত রকমের সামাজিক উন্নয়ন করেছে। তবে তফসিল তালিকাভুক্ত করার জন্য সাংবিধানিক ক্ষমতা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্যাবিনেট বৈঠকে পাস করে কেন্দ্রের কাছে নিজের মুখ্যমন্ত্রীর প্যাডে চিঠি লিখে দিল্লির কাছেৃ অনুরোধ করেছেন।” এই বলেও দাবি করেন অজিত মাইতি। সিআরআই রিপোর্ট রাজ্যের তরফে পাঠানো হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
কিছু কিছু কুড়মি নেতা অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এসব করছে বলে অভিযোগ করে অজিত মাইতি। জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর-এর অভিযোগ, ”কিছু কিছু হঠকারী কুড়মি নেতা অন্য রাজনৈতিক দলের হয়ে গান গাইছেন। কুড়মি সমাজের লোকেরা আমাদের সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এতোই যদি ওদের ক্ষমতা হয় তাহলে ভোটে লড়ে দেখাক ওই নেতারা। এত জনপ্রিয়তা হলে রাজেশ মাহাতো, অজিত মাহাতো বিধানসভায় ১২০০, ২২০০ ভোট পেয়েছিল কেন! এবার ভোটের লড়ুক!” চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর।
একইসঙ্গে কুড়মিদের এই আন্দোলন পঞ্চায়েত ভোটে কোন প্রভাব পড়বে না বলেও দাবি করেন অজিত মাইতি। যদিও ক্রমশ আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছেন কুড়মিরা। পাঁচদিন পার, ট্রেন লাইন আটকে অবরোধের জেরে বাতিল প্রায় ৪৯৬টি ট্রেন।