নতুন পোস্টে কী বললেন শ্রীজাত?
রবিবার নতুন একটি পোস্ট করেন কবি। তিনি লেখেন, ” গতকাল থেকে শব্দ প্রক্ষেপণের মাত্রা অনেকটাই কম এবং সহনীয়। সেই বাবদ ছাত্রীছাত্র ও উৎসব আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।”
তাঁকে নিয়ে দিনভর চলা ট্রোলেরও জবাব দিয়েছেন শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে এও জানিয়েছেন, তিনি একা নন, এলাকার অনেকেই এই বিষয়ে অভিযোগ করেছিলেন। শ্রীজাতর কথায়, “আমার আগের পোস্টে যাঁরা ঠাট্টা তামাশা করছিলেন, তাঁদের হয়তো এ-কথা জেনে একটু খারাপই লাগবে যে, খোদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বা JUTA এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে, যেমন করেছেন অসংখ্য কর্মী ও পড়ুয়ারা। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগও কিছু কম জমা পড়েনি।”
সবশেষে কবির জবাব, “এক নাগরিকের সত্যিকার অসুবিধে অন্যান্য নাগরিকের হাসিঠাট্টা ও ট্রোলের উপকরণ হয়ে ওঠে, এ যেমন দুর্ভাগ্যজনক (অবশ্যই যাঁরা হাসিঠাট্টা করছেন, তাঁদের দুর্ভাগ্য), তেমনই অভিযোগের ভিত্তিতে সুরাহা ও প্রতিকার হয় আজও, এও কম আশাব্যঞ্জক নয়।” এদিন অবশ্য নিজের পোস্টে কমেন্ট লিমিটেড করে দিয়েছেন শ্রীজাত।
ঠিক কী অভিযোগ ছিল শ্রীজাতর?
শুক্রবার রাতে প্রথম পোস্টটি করেন শ্রীজাত। লেখেন, “মাঝরাত পার হয়ে গেছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎসব-এর শব্দে বাড়িতে কান পাতা যাচ্ছে না। শব্দের সীমাহীন প্রক্ষেপণে জানলা দরজা কাঁপছে, কান-মাথা ব্যথা করছে। আমার লেখালেখি সাতদিন হলো শিকেয়, দূর্বা কাজ থেকে ফিরে বিশ্রাম নেবার বদলে কষ্ট পাচ্ছে। আমাদের কাজকর্মের কথা ছেড়ে দিলাম, বাড়িতে বয়স্ক, অসুস্থ মা আছেন। নিজের ঘরে শান্তিতে থাকতে পারছেন না।” যদিও পরে নিজের পোস্ট ডিলিট করে দেন তিনি।
কী প্রতিক্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিয়নের?
শ্রীজাতের অভিযোগের পরই যোগাযোগ করা হয় আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (AFSU) সঙ্গে। এই সময় ডিজিটালকে আফসু-র প্রতিনিধি শুভায়ন মজুমদার বলেন, “এটা সম্পূর্ণই শ্রীজাতর নিজস্ব মতামত। তবে এরকম সমস্যা যদি হয়ে থাকে, আমাদের তো মেটাতেই হবে। একটা কমন প্ল্যাটফর্মে সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের এনে আলোচনায় বসতে হবে। সাউন্ড আইসোলেশন করা যায় কি না, সেটাও দেখতে হবে। আমাদের আনন্দ যেন কারও সমস্যার কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।” এরপরই নড়েচড়ে বসে আয়োজকরা।