বিভিন্ন দফতরের অনলাইন পরিষেবা আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে কেন্দ্রের ‘তথ্যমিত্র কেন্দ্রে’র ধাঁচেই রাজ্যে বিভিন্ন জেলায় বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। এই কেন্দ্র (বিএসকে) রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই কেন্দ্র চালুর নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অধিকাংশ পরিষেবার জন্যই এখন অনলাইনে আবেদন করতে হয়। কিন্তু, সব জায়গায় সাইবার ক্যাফে নেই। থাকলেও যেমন খুশি টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই সব বিবেচনা করেই এরকম কেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য।
কোথায় কোথায় রয়েছে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র
প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলা সদর, মহকুমা সদর, ব্লক সদরেও একাধিক সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে। ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় হাসপাতাল, গ্রন্থাগার, পঞ্চায়েত অফিসে এই সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, প্রতিটি সহায়তা কেন্দ্রে দু’জন করে কর্মী থাকেন। প্রয়োজনে বিভিন্ন পরামর্শও দেন।
Duare Sarkar News: জলপথে দুয়ারে সরকার? জানুন বিস্তারিত
তথ্যমিত্র কেন্দ্রগুলি রয়েছে কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনে। আর এ ক্ষেত্রে সহায়তা কেন্দ্রগুলি থাকছে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের অধীনে। এই কেন্দ্র চালুর ফলে নিজস্ব প্রকল্প, পরিষেবাগুলির নিবিড় প্রচার করা সহজ হয় রাজ্যের কাছে। সরকারি পরিষেবাগুলি দ্রুত মানুষকে পৌঁছনোও সম্ভব হবে। গ্রামাঞ্চলে সকলের হাতে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ নেই। ইন্টারনেট সংযোগও নেই। অথচ, এখন বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন অনলাইনে করতে হয়। বিভিন্ন দফরের ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্যও থাকে। অনেকে মনে করছেন, তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিত মানুষের জন্যই এই ধরনের সহায়তা কেন্দ্র চালুর উদ্যোগ।
বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে যেহেতু বিনামূল্যে পরিষেবা পাওয়া যায়, তাই আধার পরিষেবাও এখান থেকে বিনামূল্যে পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।