এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সমস্ত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি, চেয়ারম্যানের সঙ্গে ব্লক স্তরের নেতৃত্বও। তাই জেলার তৃণমূল স্তরেও স্পষ্ট বার্তা দিতে পঞ্চায়েত ভোট প্রস্তুতি নিয়ে কড়া নির্দেশ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সূত্রের খবর, বৈঠকে অভিষেক বলেন, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতির পুনরাবৃত্তি যেন ২০২৩ সালে না হয়। কারণ, ২০১৮ সালের ভোটের ফলের প্রভাবেই ২০১৯-এর লোকসভায় এরাজ্যে ১৮ আসনে জয় পেয়েছিল বিজেপি বলে দাবি করেছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েতে প্রায় ৩৪ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জিতে নেয় তৃণমূল। সেখানে কোনও বিরোধীই প্রার্থী দিতে পারেনি বলে অভিযোগ ওঠে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই ক্ষোভেরই প্রতিফলন ঘটেছিল ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে। সেই রেজাল্ট মাথায় রেখেই এখন অতিসাবধানী তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। অভিষেকের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, ‘গা জোয়ারি নয়, শান্তিতেই ভোট করতে হবে। ১০০ শতাংশ মনোনয়নে জোর দিতে হবে।’
অন্যদিকে, কোন্দলের কারণে জেলা কমিটি গঠিত না হওয়ায় তৃণমূলের কয়েক জন হেভিওয়েট নেতাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি অভিষেকের। এদের কয়েক দিন সময় দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সূত্রের খবর, এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় উত্তরের দুই নেতা উদয়ন গুহ ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাদের এলাকায় জেলা কমিটি তৈরি না হওয়ায় তিরস্কার অভিষেকের। জানা গিয়েছে, তাদের বুধবারের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে ব্লক স্তরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে দলের তরফে।
