যদিও ঘাতক ডাম্পারটিকে ধরা সম্ভব হয়নি। দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ওই দুজনকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে ডাক্তার তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি আসানসোল জেলা হাসপাতালে আসেন BJP-র আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দিলীপ দে, BJP-র রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। দিলীপ দে জানান, “লড়াকু কর্মী ছিলেন বাবলু সিং ও মহেন্দ্র সিং।
বাবলু বারাবনি মণ্ডল দুইয়ের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, মহেন্দ্র সিং ছিলেন ওই মণ্ডলেরই সহ সভাপতি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ঘটনায় আমরা রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি। এর সঠিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এতদিন ধরে ওরা এই রস্তায় যাতায়াত করে, হঠাৎ রবিবার রাতেই এরকম কেন হল? যদিও এই তদন্ত রাজ্য প্রশাসন করতে পারবে না।
দুই পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে নিয়ে আমরা CBI তদন্তের আবেদন জানাবো। যদি CBI তদন্ত করে, তাহলে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবেই”। BJP-র রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি বলেন, “একটি ডাম্পার রাতের অন্ধকারে ধাক্কা মারল, আর পালিয়ে গেল, শুধুমাত্র একটি দুর্ঘটনা বলে এটা মনে হচ্ছে না। এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।
আমরা এই ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানাবো। বিষয়টি উচ্চ নেতৃত্বকেও জানানো হবে। বারাবনি এলাকায় আমাদের সংগঠন যথেষ্ট ভালো। আর এই সংগঠন গড়ে তোলার কাজে বাবলু ও মহেন্দ্রর যথেষ্ট অবদান ছিল”। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এই রাস্তা যথেষ্ট দুর্ঘটনাপ্রবণ। রাস্তাটিতে কোনও ডিভাইডার নেই।
তাই যখন তখন বড় লরি, ডাম্পার এগুলি যে কোনও দিক দিয়ে মুখোমুখি চলে আসে। আর তার ফলেই দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বাড়ে। এছাড়াও স্থানীয়রা জানিয়েছেন রাস্তাটি খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। এই রাস্তায় সঠিকভাবে বাইক বা দু’চাকার গাড়ি চালানো মুশকিল। প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও হোলদোল নিয়ে রাস্তাটি মেরামত করার।