বকেয়া ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনারে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অবস্থান সরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ সেনা বাহিনী। এই বিষয়ে আগেই দায়ের হয়েছে মামলা। শুক্রবার মামলার শুনানির আশ্বাস মিলেছে আদালতের তরফে।
সেনার বক্তব্য, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার অনুমতিতে শহিদ মিনারে সেনার জায়গায় অবস্থানে বসেছিল সরকারি কর্মীরা। তাদের অবস্থানের সময়ও বেঁধে দেওয়া ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেও তারপরেও তারা ওই জায়গা ছাড়েনি বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। তাদের দাবি, আদালতের দেওয়া সময়সীমা উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরও ওই জায়গা দখল করে তারা লাগাতার অবস্থান চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের প্রতি বঞ্চনার প্রতিবাদে এবং কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-এর দাবিতে আন্দোলনে চালাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। সরকারের বিভিন্ন দফতরে কর্মরত কর্মীদের ৩৬টি সংগঠনের যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ গত ৭৪ দিন ধরে শহিদ মিনারের পাদদেশে মঞ্চ বেঁধে আন্দোলন চালাচ্ছে। সেই বকেয়া ডিএ-এর দাবি পূরণ হওয়ার আগেই এবার সেখান থেকে আন্দোলন মঞ্চ সরানোর দাবি উঠল।
এই সময় ডিজিটালকে আন্দোলনকারী কিঙ্কর অধিকারী এই মামলার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ”আমরা কোর্টের কাছে অনুমতি নিয়েই নিজেদের দাবি তুলে ধরতে শহিদ মিনারের পাদদেশে ধরনায় বসেছি। এখন আদালত যা বলবে সেটাই হবে। তবে আন্দোলন তাতে থেমে থাকবে না।”
অন্যদিকে রাজধানীর দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে ডিএ আন্দোলনের জল। কেন্দ্রীয় বকেয়া ডিএ-এর দাবি নিয়ে যন্তরমন্তরে দুদিন ব্যাপী অবস্থান বিক্ষোভে ডিএ আন্দোলনকারীরা। ১০ ও ১১ এপ্রিল জুড়ে দিল্লিতে ধরনা অবস্থানে সামিল হতে সোমবার সকালেই দিল্লি পৌঁছেছেন প্রায় ৩০০ রাজ্য সরকারি কর্মচারী। অফিসে ছুটি নিয়েই আন্দোলনে সামিল রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।