আদিবাসীদের সূচি অনুযায়ী প্রথমে তাঁরা পায়ে হেঁটে মোহাম্মদবাজার পর্যন্ত আসবেন। সেখান থেকে সমবেতভাবে সকলে বাসে ওঠে সিউড়ি এসে প্রশাসনিক ভবনে জমায়েত করবেন। সিউড়ি শহর পরিক্রমা করার পর তারা বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা বরানগর হয়ে আবার রওনা দেবেন কলকাতার উদ্দেশ্যে।
আগামী ১৪ এপ্রিল দুপুর একটা নাগাদ ধর্মতলায় পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা তাঁদের। সেখান থেকে রাজভবন-এর উদ্দেশ্যে মিছিল করবেন। সাক্ষাৎ করবেন রাজ্যপালের সঙ্গে। তুলে ধরবেন তাঁদের দাবি সনদ।
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার দুটি পর্যায়ে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি গড়ার লক্ষ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু করেছেন। প্রথম পর্বে দেওয়ানগঞ্জ-হরিণ সিংগা এলাকায় পিডিসিএল কয়লাখনি উত্তোলনের জন্য প্রাথমিক ভাবে বোরিং-এর কাজ শুরু করেছে। স্থানীয় আদিবাসীদের ইচ্ছা অনুসারে এবং জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় একদিকে যেমন জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার।
তেমনি আদিবাসীদের কথা মাথায় রেখে সরকারি খাস জমিতে প্রায় ৬০০ একর জায়গা জুড়ে প্রথম পর্বে কয়লা উত্তোলন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার।আদিবাসী নেতা সুনীল সরেন জানান, দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও আদিবাসীদের অধিকাংশই এখনও পিছিয়ে। এলাকায় নেই রাস্তা, নেই হাসপাতাল। জল-জমি-জঙ্গলের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে এবং পাথর খাদান এলাকায় দূষণের প্রতিবাদ জানাতে এই রাজভবন যাত্রা।
যদিও দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রায় ৫০০ একর জমিতে প্রস্তাবিত কয়লা খনির কাজ শুরু হবে শীঘ্রই। যে জমির অধিকাংশ মালিক স্থানীয় আদিবাসী এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষ। রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত কয়লা খনি বাস্তবায়িত হলে এলাকায় যেমন আর্থিক বুনিয়াদ শক্ত হবে তেমনি কর্মসংস্থানের সুযোগ মিলবে। তাই এই সুযোগকে হাতছাড়া করতে চাইনি অনেকেই।
জেলা প্রশাসনের আবেদনে সাড়া দিয়ে বহু জমিদাতা তাঁদের জমি দিয়েছেন, আদিবাসীরাও জমি দিতে এগিয়ে এসেছেন। যারা জমি দিয়েছেন তাদের অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবিত প্যাকেজ অনুযায়ী চাকরি পেয়েছেন তাই বর্তমানে আদিবাসী অধিকার মহাসভার নতুন করে এই আন্দোলন কতটা আদিবাসী জনসমাজে প্রভাব ফেলবে সেই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন আদিবাসী সমাজের একাংশই।