কামাখ্যা আনন্দ বিহার এক্সপ্রেসে জেনারেল কামরায় গুলি চালানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল সোমবার রাতে। NJP স্টেশনের ঢোকার মুখে কামাখ্যা আনন্দ বিহার এক্সপ্রেসে গুলি চলে বলে খবর। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলেছে বলে জানা গিয়েছে। গুলির শব্দ শুনেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় যাত্রীদের মধ্যে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ট্রেনের যাত্রীরা।
গুলি লেগে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কে বা কারা গুলি চালিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ট্রেনটিকে NJP স্টেশনে থামিয়ে রাখা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে RPF ও GRP। গোটা ঘটনার বিষয়ে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ট্রেনের এক যাত্রী বলেন, “একটা গুলি চলার আওয়াজ আমরা শুনতে পেয়েছি। তবে ঠিক কী হয়েছে, কে মারা গিয়েছে সে সম্বন্ধে নিশ্চিত কিছু জানি না।” তবে ট্রেনের ওই যাত্রী জানান, প্রথমে এক রাউন্ড গুলি চলার আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। এরপরেই আরও তিন চার রাউন্ড গুলি চলে। গুলি চলার পর এক ব্যক্তি মারা যান বলে জানান ট্রেনের যাত্রী। তবে গোটা ঘটনায় ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য, দিল্লির আনন্দ বিহার স্টেশন থেকে আসামের কামাখ্যা স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে কামাখ্যা আনন্দ বিহার এক্সপ্রেস। এর মধ্যে NJP স্টেশনে থামে একটি হল্ট দেয় ট্রেনটি। সূত্রে খবর, NJP স্টেশনে ঢোকার মুখেই গুলি চালনার ঘটনাটি ঘটে। এরপর এনজিপি স্টেশনে ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়।
ট্রেনের ভিতরে কোনও ব্যক্তি গুলি চালিয়েছে বলে খবর। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান গুলি চালিয়ে কোনও ব্যক্তি আত্মঘাতী হতে পারেন। ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনে জড়ো হন RPF ও GRP আধিকারিকরা। কোথা থেকে গুলি মারা হয়েছে, কোন যাত্রীর গায়ে গুলি লেগেছে, কীভাবে ঘটল পুরো ঘটনা তা খতিয়ে দেখেন তাঁরা।
গোটা বিষয়টি নিয়ে যাত্রীদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কে বা কারা গুলি চালিয়েছে সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে চলন্ত ট্রেনে গুলি চালনার ঘটনায় যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।