সভা শেষ হওয়ার পর থেকেই বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে কর্মী সমর্থকরা, এমনই অভিযোগ ওই অঞ্চলের তৃণমূল যুব সভাপতি শেখ নিজামের। তিনি বলেন, “পার্টি অফিসে আমরা বসেছিলাম। তখনই অতর্কিত হামলা করা হয়। আমাদের কয়েকজন কর্মী জখম হয়েছেন, তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে”।
শেখ নিজাম আরও বলেন, “আসলে এই এলাকায় ISF-এর কোনও জনভিত্তি নেই, কোনও সমর্থক নেই। বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে তাঁদের সভা তাঁরা ভরাচ্ছে, আর এলাকায় গণ্ডগোল পাকাচ্ছে। তৃণমূল কর্মীদের ভয় দেখাতে এই ধরনের হামলা চালাচ্ছে। সেই সঙ্গে সভা থেকে কুৎসা করা হচ্ছে আমাদের নামে।
আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কোথাও ISF ভোট পাবে না, তাই এই ধরনের কাজ করে প্রচারে আসার চেষ্টা করছে”। হিংসার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ ছুটে আসে। কে বা কারা এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা জানার চেষ্টা চলছে।
ISF-এর পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করে জানানো হয়েছে তৃণমূল কর্মীরা নিজেরাই এসব করে তাদের ওপর দোষারোপ করছে। স্থানীয় এক ISF নেতা এই বিষয়ে তৃণমূলের ওপর পালটা দায় চাপিয়ে বলেন, “আমাদের সভায় ভিড় হয় প্রচুর মানুষের। তারমধ্যেও যুব সম্প্রদায়ের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
এর জেরে রাগের বশে বিকেলে ISF কর্মী সমর্থকদের হুমকি দেয় তৃণমূল কর্মীরা। তবে তখনকার মতো বিষয়টি মিটে যায়। এরপর সন্ধ্যায় তৃণমূল বাইরে থেকে প্রচুর ছেলে নিয়ে এসে এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালায়”। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও সংঘর্ষে জড়িয়েছেন ISF ও তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা।
কয়েক মাস আগে দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে ভাঙড়ের হাতিশালায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ও ISF কর্মীরা। তার জেরে কলকাতার ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয় ISF কর্মীদের। পুলিশকর্মীদের মারধরের অভিযোগও ওঠে ISF কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে।