এদিনের এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে নাগরিক পরিষেবা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে হাসপাতাল চত্বরে থাকা ইলেকট্রিক ট্রান্সফর্মারের সামনে জমে থাকা নোংরা আবর্জনায় আগুন লেগে যায়। পরে দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন। পাশে থাকা ইলেকট্রিকের তার পুড়ে যায়। সাময়িকভাবে ব্যাহত হয় বিদ্যুৎ পরিষেবা।
তবে হাসপাতালের পক্ষ থেকে জেনারেটর চালিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা সচল রাখা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা সুকুমার ঘোষ বলেন, “নোংরা আবর্জনা ইলেকট্রিক ট্রান্সফর্মারের সামনে পড়ে থাকে। রোগীর পরিবারের লোকজন হয়তো অসাবধানতাবশত এখানে আগুন ফেলে দিয়েছে। তারপরেই দাউদাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। ইলেকট্রিকের তারে আগুন লেগে যায়”।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ বারাসত শহর জুড়ে যত্রতত্র পড়ে থাকছে আবর্জনা। খোদ হাসপাতাল চত্বরেই পড়ে রয়েছে স্তূপাকারে নোংরা। হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কিভাবে নোংরা আবর্জনা পড়ে থাকে তা নিয়ে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। যা আজ দমকল দফতরের নজরেই এল।
এক দমকল আধিকারিক জানান, “হাসপাতাল চত্বরে এই ধরনের আবর্জনা পড়ে থাকা একেবারেই অবাঞ্ছনীয়। আর এই ধরনের নোংরাতে অনেক দাহ্য পদার্থও থাকে। সেখানে ভুলবশত কেউ যদি একটা দেশলাই কাঠিও ফেলে দেন, তাহলেই বড় আগুন লেগে যেতে বাধ্য। অবিলম্বে এই ধরনের নোংরা আবর্জনা পরিষ্কার করা উচিৎ”।
পাশাপাশি তাদের আরও দাবি নাগরিক পরিষেবা কতটা বেহাল হলে হাসপাতালে নোংরা আবর্জনা পড়ে থাকে তা বোঝাই যাচ্ছে। এই আগুন লাগার ঘটনা প্রশাসনের অপদার্থতা প্রমাণ করল। দমকলের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, “এলাকার মানুষ বিষয়টি না দেখলে বড়সড় বিপত্তি ঘটতে পারত।
কিভাবে হাসপাতালের ভিতরে এত নোংরা আবর্জনা পড়ে থাকে তা যথেষ্টই চিন্তার বিষয়”। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে বারাসতের বিভিন্ন জায়গায় ভ্যাট পরে থাকায় এলাকা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে তা বলাই যায়। আজ সেই নোংরা আবর্জনা স্তূপ বারাসত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিতরে লক্ষ্য করা গেল, যা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।