জানা গিয়েছে, সোমবার ভোরে শ্যামপুরের শিবগঞ্জে দামোদর নদীতে মাছ ধরছিলেন মৎসজীবী মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল। সেই সময় তাঁর জালে বিশাল ওজনের ব্ল্যাক কার্প মাছটি ধরা পড়ে। মাঝে মধ্যেই প্রমাণ সাইজের মাছ ধরা পড়লেও এত বড়ো ব্ল্যাক কার্প দেখে তিনিও কিছুটা হতবাক হয়ে যান। যদিও ভালো লক্ষ্মী লাভের আশায় তখন খুশিতে ডগমগ মৃত্যুঞ্জয়।
মাছটিকে সংগ্রহ করে নিয়ে আসা হয় শ্যামপুরের স্থানীয় আড়তে। খবর ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য মৎস্যজীবীদের মধ্যেও। বাজারে বিশালাকৃতির ব্ল্যাক কার্প মাছটি দেখতে তখন ভিড় জমান প্রচুর মানুষ। তবে দাম যে ভালই হাঁকা হবে, তা ঠাওর করতে পেরেছিলেন অনেকেই।
মুহুর্তের মধ্যেই মাছটির দাম উঠতে শুরু করে। স্থানীয় মাছ আড়তে ২৮০ টাকা কেজি ধরে মাছটি বিক্রি করেন মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল। ভালো দাম পেয়ে তিনিও খুশি। সপ্তাহের প্রথমে ভালো লক্ষ্মী লাভ হওয়ায় বেশ আনন্দিত তিনি। স্থানীয় এক ক্রেতা ওই দামে মাছটি কিনে নেন।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই শ্যামপুরের রূপনারায়ণ নদীতে মৎসজীবীর জালে ধরা ধরা পড়েছিল ১৪ কেজি নড়ে ভোলা মাছ। মাছটি কয়েক হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আর এবার শ্যামপুরের দামোদরে মৎস্যজীবির জালে ধরা পড়ল ১৯ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের একটি ব্ল্যাক কার্প মাছ।
যদিও দামোদরের গর্ভে রকমারি মাছের শেষ নেই। বিভিন্ন প্রজাতির দেশি, বিদেশি মাঝেমধ্যে ধরা পড়ে মৎস্যজীবীদের জালে। গত বছরই একটি বিশালাকৃতির অদ্ভুত দর্শনের মাছ ধরা পড়ে। বাঁকুড়া জেলার শিল্লা ঘাটের এক জেলে মাছটি ধরেন। আকারে বিশাল, বড় বড় দাঁত, সঙ্গে জুতসই পাখনা ছিল মাছটির।
দৈত্যাকার মাছটি খুব পরিচিত না হলেও অদ্ভুত ভাবে স্থানীয় ভাষায় তার নাম ‘কেনো মাছ’। এই নামেই তাকে ডাকেন স্থানীয়রা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন মাছটি ‘বাগারিয়াস স্প্যাসিস’ প্রজাতির। বিশালাকার ও প্রায় ৩০ কেজি ওজনের ওই মাছ দেখতে ভিড় জমান উৎসাহীরা। এরকম মাছ খুব কমই উঠে আসে জালে বলে জানান স্থানীয় মৎস্যজীবীরা।