আদালতে ইডি জানিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এই সরকারি আধিকারিকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হবে। এর পাশাপাশি তাঁরা জানিয়েছে, এই মামলার তদন্তে আরও বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আদলতে এদিন আরও এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে ইডি। সূত্রের খবর, ইডি আদালতে জানিয়েছে শুধুমাত্র ২০১৪ নয় ২০২১ সালের টেটেও চাকরির নাম করে টাকা তোলা হয়েছে।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অয়নের ছেলে অভিষেক, স্ত্রী কাকলি ও তাঁর ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী সপ্তাহে তলব করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলে দাবি করেন ইডি আধিকারিকরা।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অয়নের গ্রেফতারির পর থেকে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি জেরার মুখে ইডিকে অয়ন জানিয়েছেন যে ১২ কোটি টাকা নয় নিয়োগের নামে সে ৪০ কোটি টাকা তুলেছে। ইডিকে অয়ন জানিয়েছেন, নিয়োগের নামে ৪০ কোটি টাকা তুললেও সেই টাকা ২০-২৫ শতাংশ কমিশন পেয়েছেন তিনি। বাকি টাকা প্রভাবশালীদের কাছে গিয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতি হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের পর অয়নের হদিশ পায় ইডি। ৩৭ ঘণ্টার ম্যারাথন তল্লাশির পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অয়নের সল্টলেকের দফতর থেকে দুই স্যুটকেস ভর্তি নথি উদ্ধার করে ইডি আধিকারিকরা। সেই নথি থেকে প্রায় ৬০টি পুরসভায় নিয়োগের নথি পাওয়া গিয়েছিল। এমনকী নথি খতিয়ে দেখে রাজ্যের সব সরকারি বিভাগের নিয়োগে বেনিয়ম হয়েছে বলে আদালতে দাবি করে ইডি।