CV Anand Bose : হঠাৎ মুখ্যসচিবকে রাজভবনে তলব বোসের! রাজ্য-রাজ্যপাল সমীকরণ নিয়ে নয়া জল্পনা – west bengal governor cv anand bose summoned cheif secretary hari krishna dwivedi to rajbhavan


West Bengal News: রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্কের নয়া সমীকরণ নিয়ে আলোচনার মধ্য মুখ্যসচিবকে রাজভবনে জরুরি তলব। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিন রাজ্যপালের তরফে ডাক পেয়েছে রাজভবনে পৌঁছন মুখ্যসচিব। সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর বৈঠক চলছে।

Bratya Basu : ফের নবান্ন-রাজভবন সংঘাত? উপাচার্য ইস্যুতে রাজ্যপাল বোসকে কড়া বার্তা শিক্ষামন্ত্রী বসুর
রাজভবন সূত্রে খবর, এই বৈঠক পূর্ব নির্ধারিত নয়। এদিন হঠাৎ করে রাজভবনের তরফে মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠানো হয়। কী নিয়ে বৈঠকে আলোচনা চলছে, সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। তবে রাজ্যপালের সঙ্গে নবান্নর সম্পর্ক নিয়ে ষখন কৌতুহল তৈরি হয়েছে, তখন এই বৈঠক নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

রাজভবন সূত্রে খবর, এদিন সকাল ১১টা নাগাদ সেখানে আসেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠক কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে সেই সম্পর্কে কিছু জানা না গেলেও বিশেষজ্ঞদের ধারণা, রাজ্য আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্য সরকারের শীর্ষ প্রশাসনিক আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলতে পারেন রাজ্যপাল।

CV Ananda Bose : সাপ্তাহিক রিপোর্ট যাবে রাজভবন, কাজের ফিরিস্তি রিপোর্ট আকারে পাঠাতে নির্দেশ বোসের
রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়ার শিবপুর ও হুগলির রিষড়ায় অশান্তির ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। সোমবার রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সেই নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সম্প্রতি রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যের কাছে রাজভবনের তরফে একটি নির্দেশিকা গিয়েছিল। সেখানে উপাচার্যদের প্রতি একাধিক নির্দেশিকা ছিল। সেই নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেই নিয়েও রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।

West Bengal Governor : সারপ্রাইজ ভিজিট! কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির রাজ্যপাল
সম্প্রতি রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজভবনের তরফে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছিল। সেই নির্দেশিকায় বলা হয় সপ্তাহের শেষ কাজের দিন রাজভবনকে রিপোর্ট পাঠাতে হবে। এর পাশাপাশি খরচের ক্ষেত্রে রাজভবনের অনুমতি নিতে হবে বলে নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছিল। এর পাশাপাশি উপাচার্যরা যে কোনও সময় টেলিফোন বা ইমেল মারফত রাজভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছিল।

রাজভবনের এই নির্দেশিকা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার ও শিক্ষা দফতরকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। আমরা এই নির্দেশিকা তুলে নেওয়ার অনুরোধ করব। রাজ্যপালের যা বলার স্পষ্ট করে বললেই ভালো। ভাসা ভাসা করে কথা বলার কোনও প্রয়োজন নেই।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *