ফলে আপাতত ময়দান চত্বর জুড়ে চাকরি, বকেয়া ডিএ সহ নানা ইস্যুতে চলা প্রায় ১৪ টি ধরনা অবস্থান আন্দোলনের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে।
গান্ধী মূর্তির সামনে ২৭ জানুয়ারি থেকে ধরনা চালানো একটি সংগঠন এদিন তাদের সেখানে অবস্থানের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করে। আদালত সেই মামলায় সেনা বাহিনীকে যুক্ত করার নির্দেশ দেয়।
আদালতের বক্তব্য, ময়দান থেকে সব অবস্থান সরানোর জন্য মামলা করেছে সেনা বাহিনী। তাই তাদের বক্তব্য শুনতে হবে। সোমবার হবে মামলার শুনানি। অন্যদিকে, ময়দান থেকে সমস্ত ধরনা মঞ্চ ও আন্দোলন সরানোর যে আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয় সেনাবাহিনী, সেই মামলার শুনানি রয়েছে।
ময়দানে এই মুহূর্তে বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে অবস্থান আন্দোলনে শুধু সরকারি কর্মচারীরাই নন, রয়েছে শিক্ষক পদের বিভিন্ন স্তরে নিয়োগের তুলে সরব হওয়া একাধিক চাাকরিপ্রার্থীদের সংগঠনও। আদালতের অনুমতিতেই ময়দানের বিভিন্ন অংশে সরকারের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান আন্দোলন চালিয়ে আসছেন চাকরিতে বঞ্চিত বিভিন্ন সংগঠন।
সোমবার আদালতে সেনা জানায়, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার অনুমতিতে শহিদ মিনারে সেনার জায়গায় অবস্থানে বসেছিল সরকারি কর্মীরা। একইভাবে ময়দানে ওই এলাকায় অবস্থান আন্দোলনে শিক্ষকপদে চাকরিপ্রার্থীরাও।
আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তাদের অবস্থানের সময়ও বেঁধে দেওয়া ছিল। কিন্তু, সেনার দাবি নির্দিষ্ট সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেও তারা ওই জায়গা ছাড়েনি। তাদের দাবি, আদালতের দেওয়া সময়সীমা উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরও ওই জায়গা দখল করে তারা লাগাতার অবস্থান চালাচ্ছে আন্দোলনকারীরা।