এসব করতে গিয়ে প্রচুর টাকা খরচ করেছে তৃণমূল। গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয়, অসম, তার আগে মনিপুর, অনেক রাজ্যেই গিয়ে অনেক কিছু করার চেষ্টা করেছে তৃণমূল, জলের মতন টাকা খরচ করেছে। কিন্তু কিছুই করতে পারল না। শেষ পর্যন্ত আবার বাংলার দল হয়েই ফিরে এল। এবার তাঁদের শুধু পশ্চিমবঙ্গের দল হয়েই থাকতে হবে”।
জাতীয় দলের মর্যাদা হারানোয় তৃণমূলের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। হাওড়া স্টেশনে এই নিয়েও ফের কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “খুব অন্যায় হয়েছে। একটা জাতীয় দলকে আঞ্চলিক দল করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে তৃণমূলের ধরনায় বসা উচিত।
শুধু ধরনা নয়, ভাঙাভাঙিও করা হোক। হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, নির্বাচন কমিশন সবাই মিলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে”। উল্লেখ্য, সোমবার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি ‘শান্ত জায়গাকে অশান্ত করতে এসেছে’ বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয়ে দিলীপ বাবু বলেন, “রাজ্য শান্ত কোথায় আছে? থাকলে ১৪৪ ধারা জারি আছে কেন?
রাম নবমীর দিন অশান্তির ঘটনায় হাওড়ার শিবপুর ও হাওড়া থানার OC কে বদল করা হল। এটা কিছুই না, এটা হল গিয়ে আই ওয়াস। শুধু কি তাই? বালুরঘাটে আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে কি করা হয়েছে সবাই দেখেছেন। গত বছুর বীরভূমে মহিলাদের পুড়িয়ে মারা হয়েছে, তা গোটা দেশ দেখেছে”।
এখানেই না থেমে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, “মাননীয়া রাজ্যের দায়িত্ব সামলাতে পারছেন না, আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে, পুলিশ প্রশাসন দায়িত্ব পালন করতে পারছে না, আর এদিকে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম এলেই ওনার রাগ হয়ে যাচ্ছে”। কিন্তু এই ঘটনাগুলিতে গোটা দেশের সামনে রাজ্যের বদনাম হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন দিলীপ।