পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেনের মধ্যে প্রায় তিন রাউন্ড গুলি চলেছে। এরপর ট্রেনটি এনজেপি স্টেশনে ঢুকলে মৃত ব্যক্তির দেহ নামানো হয়। কামরায় সমস্ত যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে GRP ও RPF। প্রত্যক্ষদর্শীদের GRP থানায় নিয়ে গিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
GRP থানা সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি প্রাক্তন সেনা কর্মী। তাঁর কাছে যে পিস্তল ছিল সেটির লাইসেন্স রয়েছে। সেই পিস্তলটি উদ্ধারও হয়েছে। ব্যক্তির পরিচয় দেখে পুলিশ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে যে, মদ্যপ অবস্থায় ওই ব্যক্তি ট্রেনের কামরায় ছিলেন। সেখানে আপার বার্থে উঠেছিলেন। ওই আসনে কাউকে বসতে না দেওয়া নিয়ে তিনি বচসা শুরু করেন। এরপর গুলি চলে। প্রথমে এক রাউন্ড গুলি চলে।
এরপরও কয়েক মিনিট বাদের আরও কয়েক রাউন্ড গুলি চলে। নিজেই গুলি চালিয়েছেন ওই ব্যক্তি নাকি যাত্রীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে গুলি চলে গিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে এনজেপি GRP থানার পুলিশ।
মঙ্গলবার ব্যক্তির ময়নাতদন্তের জন্য দেহ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা শিলিগুড়ি পৌঁছেছেন। পুলিশ জানতে পেরেছে, ২০১৬ সালে সেনা থেকে অবসর নিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। এরপরও কোথাও সিকিউরিটি এজেন্সিতে কাজ করতেন। পিস্তল রাখার জন্য লাইসেন্সও পেয়েছিলেন। রেল পুলিশ সুপার সেলভা মুরুগন বলেন, “এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর পাশ থেকে পিস্তল পাওয়া গিয়েছে।”
তবে ঠিক কী কারণে গুলি চালানো হল, তা এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। এদিকে যে কামরায় ঘটনাটি ঘটে সেটিকে এনজেপি স্টেশনে আলাদা করে রাখা হয়েছে। ফরেন্সিক দল এসে পরীক্ষা করবে। ময়না তদন্তের পর আরও কিছু নতুন তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।