Kurmi Protest: কুড়মিদের বিরুদ্ধে বেআইনি জমায়েত ও জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধের অভিযোগ তুলে মামলা পুলিশের – police filed suo moto case against kurmi protester


অষ্টম তফসিলির অন্তর্ভুক্তি সহ একাধিক দাবিতে রেল রোকো ও জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধের কর্মসূচি নেন কুড়মি সমাজ। এবার কুড়মিদের আন্দোলনের জেরে তাদের বিরুদ্ধে সুয়ো মোটো মামলা রুজু করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, এবার কুড়মি সমাজের আন্দোলনে বেআইনি ভাবে জমায়েত করে জাতীয় সড়ক অবরোধ করা এবং উচ্চ স্বরে ডিজে বাজানোর জন্য সুয়ো মোটো মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পুরুলিয়া মফস্বল থানা কুশটাড় এলাকায় জমায়েত এবং উচ্চ স্বরে ডিজে বাজানোর জন্য কয়েকশো জন অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তির নামে মামলা রুজু করেছে।

শুধু কুশটাড় নয়, একইসঙ্গে তেমনি কোটশিলায় জমায়েত হয়ে সড়ক অবরোধ ও উচ্চ স্বরে ডিজে বাজানোর জন্য কয়েকশো জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির নামে মামলা রুজু করেছে কোটশিলা থানার পুলিশ।

Kurmi Protest: কুড়মি আন্দোলন প্রত্যাহার নিয়ে বিভ্রান্তি! খেমাশুলিতে অনড় অবস্থানকারীরা, পুরুলিয়ায় নতুন করে অবরোধ

উল্লেখ্য, নিজেদেরকে তফসিলি উপজাতি হিসেবে ঘোষণা, সারণা ধর্ম ও কুড়মালি ভাষার স্বীকৃতি সহ একাধিক দাবিতে ৫ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য পুরুলিয়ার কুস্তাউর রেল স্টেশনে রেল অবরোধ করে কুড়মিরা। একইসঙ্গে পুরুলিয়া – বরাকর রাজ্য সড়ক অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছিল আদিবাসী কুড়মি সমাজ। ওই ঘটনাতেই স্বতপ্রণোদিত ভাবে মামলা রুজু করল পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। কুড়মিদের আন্দোলনের জেরে পাঁচদিনে বাতিল হয় প্রায় ৪২৯ ট্রেন।

Kurmi Protest: ফের রেল রোকো কুড়মিদের, ক্ষোভে ফুঁসছে সমাজ! কী কী দাবিতে বার বার পথে নামতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা? জানুন

৯ তারিখ অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয় কোটশিলা রেল স্টেশন ও পুরুলিয়া – রাঁচি রাজ্য সড়কেও। লাগাতার পাঁচদিন ধরে টানা পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়া অবস্থান ও অবরোধ কর্মসূচি ছিল কুড়মিদের। রেল পথের পাশাপাশি কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষেরা জাতীয় সড়কও অবরোধ করেন। ট্রেন ও বাসের রাস্তা একইসঙ্গে বন্ধ থাকায় ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। যদিও রবিবারই পিছু হটে অবরোধ কর্মসূচি তুলে নেওয়ার ঘোষণা করেন আদিবাসী কুড়মি সমাজের প্রধান উপদেষ্টা অজিত প্রসাদ মাহাত। যদিও সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বানও প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।

Kurmi Protest: শাসক থেকে মুখ ফেরাচ্ছে কুড়মি সমাজ? নেতাদের মুখে শুধু, ‘বঞ্চনা আর বঞ্চনা’

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কুড়মি সমাজের তরফে জানানো হয় অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র ‘আদিবাসী কুড়মি সমাজ’ এর। এরপরও বেশ কয়েকঘণ্টার মধ্যে নতুন করে রেল ও রাজপথে অবরোধ করা হলে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরে রবিবার রাতে কুড়মি সমাজের শীর্ষ নেতৃত্ব জানান, তারা শর্ত সাপেক্ষে এই অবরোধ সরিয়ে নিচ্ছেন। তারপরই পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ায় রেল লাইন থেকে সরে যান বিক্ষোভকারীরা। শুরু হয় আংশিক ট্রেন চলাচল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *