শেষে নদীর ধারে থেকে তাকে অচৈতন্য অবস্থায় ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধারের পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখনও নাবালিকার পরিবার গণধর্ষণের ঘটনা জানত না। চিকিৎসায় জ্ঞান ফিরে আসার পর সে কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। গোটা ঘটনার কথা পরিবারকে জানায়।
মেয়ের উপর শারীরিক নির্যাতনের কথা জানতে পেরে শামুকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। অভিযুক্তরা নদীর পশ্চিম পারের বাসিন্দা হওয়ার কারণে নির্যাতিতা প্রত্যেককেই চিনতে পেরেছিল বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি জানা মাত্রই কড়া পদক্ষেপ করেন জেলার পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী।
শামুকতলা থানার ওসি অভিষেক ভট্টাচার্যের নেতৃত্ব রাতভর অভিযান চালিতে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাকি দু’জন এখনও ফেরার। তবে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। শেষে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। ঘটনায় ওই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। তিন ধৃতের নাম হরিচাঁদ টুডু, প্রদীপ টুডু ও সুরজ মারান্ডি। তদন্তের স্বার্থেই বাকি দুই অভিযুক্তের পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।
নাবালিকার পরিবার ও পুলিশ সূত্রে খবর, মেডিক্যাল পরীক্ষার প্রাথমকি রিপোর্টে নাবালিকার গণধর্ষণের বিষয়টিক প্রমাণ মিলেছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের আলিপুরদুয়ার এসিজেএম আদালতে পেশ করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে।
জেলার পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তৎপরতার সঙ্গে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে চালান করা হয়েছে। বাকি দু’জনকেও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।’ নাবালিকার পরিবারের তরফে অভিযুক্তদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।